সংক্ষিপ্ত
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে (RG Kar Medical College & Hospital) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় মৃতার পরিচয় প্রকাশ এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয় দুই খ্যাতনামা চিকিৎসককে।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে (RG Kar Medical College & Hospital) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় মৃতার পরিচয় প্রকাশ এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয় দুই খ্যাতনামা চিকিৎসককে।
সোমবার, লালবাজারে হাজিরা দিতে যাওয়ার আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে ডাঃ কুণাল সরকার এবং ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামীর সমর্থনে শুরু হয় মিছিল। এই মিছিলে শামিল হন অন্যান্য বিশিষ্ট চিকিৎসকরাও। সেই মিছিল থেকে ডাঃ কুণাল সরকার রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে জানান যে, প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো স্বচ্ছতা এবং মানসিক জোর তাদের আছে।
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তাদের সরব হওয়ার পিছনে কোনও খারাপ অভিসন্ধি ছিল না। কর্তব্যরত অবস্থায় সেই রাতে তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার পর থেকেই গর্জে উঠেছে চিকিৎসক মহল। সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) কার্যত ভরে গেছে একাধিক প্রতিবাদী পোস্টে। সেইসঙ্গে, প্রশাসন এবং হাসপাতাল অথরিটিও রীতিমতো সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছে।
বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত ডাঃ কুণাল সরকার, ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী এবং ডাঃ রাজা ধরও এই নিয়ে সরব হয়েছেন। আর এই ঘটনার তদন্তে নেমে লালবাজারের নজরে আসে তাদের সেইসব পোস্ট। তাইও সোশ্যাল মিডিয়াতে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এই তিনজন বিশিষ্ট চিকিৎসককে তলব করেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। সোমবার, তাদের হাজিরা দিতে বলা হয়।
এইমুহূর্তে এমন একটি স্পর্শকাতর ইস্যুতে বিশিষ্ট এবং নামী চিকিৎসকদের এইভাবে সরাসরি পুলিশি তলবে রীতিমতো ক্ষুব্ধ কলকাতার চিকিৎসক মহল সহ সাধারণ মানুষও। ডাঃ কুণাল সরকার, ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামীদের হয়ে তাই সুর চড়িয়েছেন শুভানুধ্যায়ীরাও। এদিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সামনে থেকে চিকিৎসকরা একটি মিছিল করে লালবাজারের সামনে পৌঁছে যান। তিন চিকিৎসক যেহেতু হাজিরা দিতে ভিতরে ঢুকবেন, তাই তারা বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন প্রতীকী প্রতিবাদ স্বরূপ।
আর সেই মিছিলের শুরুতেই ডাঃ কুণাল সরকার জানান, “এটা বিভেদের সময় নয়। পুলিশের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো মানসিক স্বচ্ছতা এবং বুদ্ধি আমাদের আছে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় আমাদের মনে কোনও খারাপ অভিসন্ধি ছিল না। যা প্রশ্ন করবে, জবাব দেব। কিন্তু পাশাপাশি সরকারকেও বলতে চাই যে, চিকিৎসকরা অনেক কষ্ট করে পরিষেবা দেন। সরকারি-বেসরকারি সমস্ত হাসপাতালে তাদের যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।