সংক্ষিপ্ত

আজও সকাল থেকেই ভিড় রাস্তায়। বেলা বাড়লে ভিড় আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ষষ্ঠীর ভিড়কে চার গোল দিল সপ্তমীর জনস্রোত। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় উপচে পড়তে থাকে শহরের রাস্তায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে গত কয়েক বছরের রেকর্ড ভাঙা ভিড় হয়েছে এই বছরের সপ্তমীর সন্ধ্যায়। তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমীর ভিড়কে ছাপিয়ে গেল এদিনের সন্ধ্যার ভিড়। অষ্টমীর সন্ধ্যায় ভিড়ের ছবিটা ঠিক কী হতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়, করোনাকালের পর এই বছরের মতো জনস্রোত আগে নামেনি রাস্তায়। আজও সকাল থেকেই ভিড় রাস্তায়। বেলা বাড়লে ভিড় আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে অষ্টমী আর নবমীর ভিড়ের হিসাব করলে তা এই দশকের সব পুজোকে ছাপিয়ে যেতে পারে।

তবে সপ্তমীর সকালেও ছবিটা এরকম ছিল না। দুপুর ৩টে পর্যন্ত প্রায় স্বাভাবিকই ছিল রাস্তাঘাটের অবস্থা। কোনও রাস্তাতেই যানজটের ছবি দেখা যায়নি। দুপুর ৩টে পর্যন্ত পথে গাড়ি চলেছে নির্ঝঞ্ঝাটে। তবে রাত বাড়তেই ছবিটা একেবারে বদলে যেতে লাগল। বিকেলের পর থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করতে শুরু করল নানা মণ্ডপে।

দক্ষিণে রুবির মোড় থেকে রাসবিহারীর রাস্তায় জনতার ভিড় সামলাতে রীতিমত নাজেহাল হতে হচ্ছে পুলিশকে। এই পথেই পড়ে শহরের অন্যতম নামী পুজো, বোসপুকুর শীতলা মন্দির, একডালিয়া, সিংহী পার্ক, হিন্দুস্তান পার্ক, ত্রিধারা সম্মিলনী। এদিকে আর একটু এগিয়ে গেলেই পড়ে সিংহী পার্ক, হিন্দুস্তান পার্ক। বিকেলের দিকে ট্রাফিকের চাপ তাও কম থাকলেও রাত বাড়তেই ভিড় বাড়ছে রাসবিহারী এভিনিউ, সেন্ট্রাল এভিনিউ, লেক টাউনের মতো রাস্তায়।

অন্যদিকে, সপ্তমীর সন্ধ্যেতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল এভিনিউ থেকে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট। উত্তরে শোভাবাজার স্ট্রিট, টালা ব্রিজে ট্রাফিকের চাপ রয়েছে প্রবল। এছাড়া দক্ষিণে চেতলার পুজোর জন্য নিউ আলিপুর চত্বরে ট্রাফিকের চাপ রয়েছে। এছাড়া তিল ধারণের জায়গা নেই শহরের নামী মণ্ডপগুলোর আশেপাশে। জনতার ভিড় সামলাতে গিয়ে গতি কমছে যানবাহনেরও। এদিকে গড়িয়াহাট থেকে ভিআইপি রোড, নিউ আলিপুরের একাধিক রাস্তা, শিয়ালদা চত্বরে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত যান চলাচল।

আজ অষ্টমীর দিনেও এই রাস্তাগুলিতে ভিড়ের যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে ভিড়ের চাপও। অষ্টমীর সন্ধ্যায় ট্রাফিকের আপডেট ও মণ্ডপের পরিস্থিতির সব আপডেট ফেসবুকের মাধ্যমে লাইভ টেলিকাস্ট করছে কলকাতা পুলিশ।