সংক্ষিপ্ত

মমতা বলেন আমাদের বাড়িতে প্রায়ই অত্যাচার করছে। কালকে সারারাত না জাবিয়ে চলে গিয়েছিল ৪-৫টি জায়গায়। আমাকে কেউ কিছু বলেনি।

 

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থার কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাসির প্রতিবাদে সরব মমতা। সরাসরি নিশানা কপেন কেন্দ্র সরকারকে। চোখের চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। ২৫ দিন পরে রবিবার ফিরেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সোমবার থেকেই অভিষেকের সংস্থা হিসেবে পরিচিত একটি সংস্থার একাধিক অফিসে তল্লাশি চালায় এফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাতভর প্রায় চার পাঁচটি জায়গায় তল্লিশা চালায়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের এই তল্লাশি নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে নেতাজি ইন্ডোরের পুজো কমিটির বৈঠকে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সরাসরি নিশানা করেন কেন্দ্র সরকারকে।

মমতা এদিন বলেন, 'আমাদের বাড়িতে প্রায়ই অত্যাচার করছে। কালকে সারারাত না জানিয়ে চলে গিয়েছিল ৪-৫টি জায়গায়। আমাকে কেউ কিছু বলেনি। আমি সকাল ৬টা আইনজীবী মারফর জানতে পারলান। ছেলেটা সবে বিদেশ থেকে এসেছে। শুনেই বাবুরা বেরিয়ে পড়েছে।' মমতার অভিযোগ এজাতীয় তল্লাশি পুরোটাই বেআইনি। তাঁর যুক্তি হল, কারও বাড়িতে পুলিশ গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তাতে তা জানাতে হবে। রেড করার সময়ও বাড়ির লোকের উপস্থিতি থাকবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি রেড করে যায় কাউকে কিছুই জানায় না। তারপরই মমতা বলেন, 'তুমি কারও বাড়িতে যাচ্ছ না জানিয়ে তারও নিরাপত্তার কারণ আছে। তুমি যদি লুকিয়ে বিস্ফোরক বা বন্দুক রেখে যাচ্ছ না কে তার গ্যারান্টি নেবে। তুমি যে কোটি টাকা নিজে বাক্স করে নিয়ে ঢুকছো না তা জানার তো কোনও জায়গা নেই।' তিনি বলেন এজাতীয় ঘটনা কখনই আইনি নয়।

আলিপুরের লিপস অ্যান্ড বাউন্সের অফিসে ১৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলায় ইডি। সাংসদ হওয়ার আগে প্রধান ছিলেন অভিষেক। এখনও তাঁর পরিবারের অনেকেই এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কাছ থেতে পাওয়া তথ্য যাঁচাই করার জন্যই সেখানে হানা দেয় ইডি। যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কিছুই জানায়নি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দাবি কেন্দ্র সরকার রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করলেই এজাতীয় পজক্ষেপ করছে। তদন্তের নামে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাঠগ়ড়ায় খাড়া করছে।

দুর্গা পুজো উপলক্ষ্যে নেতাজি ইন্ডোরের বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোরে ক্লাবগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। সেখানেই তিনি দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। গত বছর পর্যন্ত এই অনুদান ছিল ৬০ হাজার টাকা। এবার আরও ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে দিলেন তিনি। একই সঙ্গে পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি বিজ্ঞাপণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।