সংক্ষিপ্ত

আদালতে ঢোকার সময় আগেরবারের মত একই কথা বলেন তিনি,'আমি নিরপরাধ'। তাঁকে অপরাধী সাজানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন সৌরভ।

'আমি নিরপরাধ' মঙ্গলবার ফের দাবি যাদবপুরকাণ্ডে অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীর। ২২ অগাস্ট ফের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল তাঁকে। আদালতে ঢোকার সময় আগেরবারের মত একই কথা বলেং তিনি,'আমি নিরপরাধ'। তাঁকে অপরাধী সাজানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন সৌরভ। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে হাজির করা হয় যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভ, মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তকে। আজই তাঁদের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এদিনও আদালতে প্রবেশের সময় সৌরভ বলেন,'আমি অপরাধী নই। অপরাধী সাজানো হয়েছে আমাকে।'

প্রসঙ্গ, গত ১২ অগাস্ট শনিবার আলিপুর আদাতলে পেশ করা হয় সৌরভকে। এদিন আদালত থেকে বের করার পর তাকে ফাসানোরব চেষ্টা করা হচ্ছে মিনা জানতে চাওয়া সৌরভের স্পষ্ট দাবি তিনি নিরপরাধ। স্বপ্নদীপের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং হস্টেলের আবাসিক সৌরভকে। এর আগেই ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় সৌরভের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন স্বপ্নদীপের বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের মামলা রুজু করা হয়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত অরাক্তন পড়ুয়া সৌরভ চৌধুরীকে ২২ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। শনিবার আদালতে হাজির করা হয়েছিল সৌরভকে। এদিন ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত হেফাজতে সৌরভকে হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে সৌরভ চৌধুরী নামের এই পড়ুয়ার বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় তাকে আটক করা হয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা থানার খারুষা এলাকার বাসিন্দা সৌরভ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অঙ্ক নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ২০২২ সালে স্নাতকোত্তর হন তিনি। তবে পাশ করে যাওয়ার পরেও গত এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালইয়ের হস্টেলেই থাকতেন তিনি। গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়ায় সৌরভের। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বয়ানে অসঙ্গতি মনে হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এবার সৌরভের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তাঁর বাবা নিরূপ চৌধুরী এবং মা প্রণতি চৌধুরী।