সংক্ষিপ্ত

পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। এবার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে শাসক দলের পার্টি অফিসে ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ আনা নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার দ্বারস্থ হলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। সোমবার মামলা দায়

কলকাতা: পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। এবার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে শাসক দলের পার্টি অফিসে ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ আনা নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার দ্বারস্থ হলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। সোমবার মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Tirthankar Ghosh)।

পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur News) নারায়ণগড়ের মকরামপুরে শাসক দলের পার্টি অফিসে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে খোদ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবার। সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

গত ৯ মার্চ পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের মকরামপুরে শাসক দলের পার্টি অফিসে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই মহিলা একটা সময় বিজেপির স্থানীয় নেত্রী ছিলেন। তাঁর স্বামীও বিজেপির প্রাক্তন নেতা বলে পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা সক্রিয় রাজনীতি করেন না। ওই দম্পতির অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের বিজেপি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতো শাসকদলের পক্ষ থেকে। গত ৯ মার্চ ওই মহিলাকে স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। সরাসরি অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁরা সক্রিয়ভাবে আর বিজেপি করেন না- তা লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি। সেই কারণেই গত ৯ মার্চ স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে গেলে তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা মহিলা। তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়।

ওই মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ করে জাতীয় মহিলা কমিশন। অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকেও নির্দেশ দেয় তারা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে নির্যাতিতার আইনজীবী জানান, এখনও পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। শুধুমাত্র এফআইআর টুকুই হয়েছে। কোনও অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়নি। থানায় অভিযোগ জানালেও ধর্ষণের ধারা যুক্ত করেনি পুলিশ। তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি। নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে নির্যাতিতা ওই মহিলাকে নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন জানানো হয় হাইকোর্টে। পাশাপাশি যে কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন এদিন আদালতে জানান নির্যাতিতার আইনজীবী। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (West Bengal News)।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।