সংক্ষিপ্ত
কলকাতার বুকে রমরমিয়ে চলছিল ফর্ম্যালিন দিয়ে মাছ বিক্রি। হাতেনাতে ধরল কলকাতা পুরসভা।
কলকাতার বুকে রমরমিয়ে চলছিল ফর্ম্যালিন দিয়ে মাছ বিক্রি। হাতেনাতে ধরল কলকাতা পুরসভা।
বিষাক্ত রাসায়নিক ফর্ম্যালিন মিশিয়ে মাছ বিক্রি চলছিল কলকাতায়। আর সেই ক্ষতিকারক রাসায়নিকই কিনা প্রবেশ করছে ক্রেতাদের শরীরে। তার ফলে বিভিন্ন ধরণের সমস্যাও তৈরি হচ্ছে। কলকাতার একাধিক বাজারের মাছ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে উঠেছে এমনই অভিযোগ।
জানা যাচ্ছে, মাছ টাটকা রাখার জন্যই ক্ষতিকারক এই রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে অনেকদিন ধরে। বিষয়টি সামনে আসার পরই কলকাতার একাধিক বাজারে হানা দিয়ে বিভিন্ন ধরণের মাছের থেকে মোট ৫৬টি নমুনা সংগ্রহ করল কলকাতা পুরসভা (KMC)।
যদি সেই মাছগুলি থেকে কোনওরকম ক্ষতিকারক রাসায়নিকের সন্ধান পাওয়া যায়, তাহলে সেই সমস্ত বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে, পাতিপুকুর, নিউমার্কেট, মানিকতলা এবং কালিকাপুর সহ শহরের একাধিক মাছ বাজারে হানা দেয় পুরসভার খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের একটি বিশেষ দল।
তারা ওই সমস্ত বাজার থেকে মোট ৫৬ রকমের নমুনা সংগ্রহ করেন। যার মধ্যে মানিকতলা থেকে ১৮টি মাছের নমুনা সংগ্রহ করেন তারা। এছাড়াও পাতিপুকুর মাছ বাজার থেকে ১৮টি, কালিকাপুর বাজার থেকে ১৫টি এবং নিউমার্কেট মাছ বাজার থেকেও বেশকিছু মাছের নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতা পুরসভার (KMC) খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের বিশেষ দল। এই সমস্ত নমুনা ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে।
সূত্রের খবর, বাজারে হানা দেওয়ার পর বেশ কিছু মাছ দেখে আধিকারিকদের রীতিমতো সন্দেহ হয়। সেইসব মাছের নমুনা তারা সংগ্রহ করেছেন। রুই, চিংড়ি, ভেটকি এবং কাতলা সহ বিভিন্ন ধরণের মাছের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান তারা। সেগুলি ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
যদি কোনও মাছের দেহে ফর্ম্যালিন পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকে নোটিশ দেওয়া হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। পুরসভার আধিকারিকরা বলছেন, সমস্ত ব্যবসায়ী এই ঘটনায় জড়িত নন। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা বেশি লাভের আশায় এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, ফর্ম্যালিনের প্রভাবে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তবে ফর্ম্যালিন মেশানো মাছ চেনা খুব একটা কঠিন বিষয় নয়। কারণ, ফর্ম্যালিন মেশানো মাছ অনেকটা বেশি শুকিয়ে যায় এবং কানকো হয়ে যায় কালচে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।