সংক্ষিপ্ত

টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভজিৎ মণ্ডলকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল গত ১৪ সেপ্টেম্বর। তাঁরই সঙ্গে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে।

 

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুনে প্রমাণ লোপাট ও বড় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তৎকালীন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে প্রায় আড়াই মাস। এবর জামিন পেতে টালা থানার ওসি দ্বরস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের। তাঁর এই মোক্ষমচালে রীতিমত প্যাঁচে পড়তে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। চলতি সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে জামিন মামলার শুনানি হতে পারে।

 

টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভজিৎ মণ্ডলকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল গত ১৪ সেপ্টেম্বর। তাঁরই সঙ্গে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। সিবিআই সূত্রের খবর অভিজিৎ-সন্দীপের ফোন কল রেকর্ড তাদের হাাতে রয়েছে। সেটাই তাদের বিরুদ্ধে সবথেকে বড় অস্ত্র। তবে এখনও সিবিআই অভিজিৎ বা সন্দীপের বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট পেশ করেছে। আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। সেই সময় একটি সাপলিমেন্টরি চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। তাতে নাম ছিল সন্দীপ-অভিজিতের। তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট আর যড়যন্ত্রের অভিযোগ ছিল। খুন বা ধর্ষণের সরাসরি কোনও অভিযোগ ছিল না।

তবে কলকাতা হাইকোর্ট যদি অভিজিৎ মণ্ডলকে জামিন দেয় তাহলে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই-এর ওপর চাপ বাড়বে। কারণ ইতিমধ্যেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তারওপর অভজিতের বিরুদ্ধে চার্জশিট এখনও দাখিল করতে পারেনি সিবিআই। তাই অভিজিতের জামিন প্রশ্ন তুলে দেবে সিবিআই-এর তদন্ত পদ্ধতি নিয়ে। গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল  তরুণী চিকিৎসকের দেহ।  প্রথমে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করে। তারপরই  কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের ভার যায় সিবিআই-এর ওপর। 

 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।