সংক্ষিপ্ত
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, একাধিক জটিলতার কারণে এসপ্ল্যান্ড আর শিয়ালদহের মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গের কাজ থমকে গিয়েছে।
এসপ্ল্যান্ড ও শিয়ালদহ মেট্রো কবে জুড়বে? দীর্ঘ দিন ধরেই এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু এবার মনে হয় উত্তর দিতে পারবে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। কারণ বহুবার থমকে গিয়েছে এসপ্ল্যান্ড - শিয়ালদহ মেট্রোর সুড়ঙ্গের কাজ। কিন্তু এবার সুড়ঙ্গের কাজ প্রায় শেষের দিকে। শুরু হচ্ছে লাইন পাতার কাজ। তেমনই কবর মেট্রোর সূত্রের।
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, একাধিক জটিলতার কারণে এসপ্ল্যান্ড আর শিয়ালদহের মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গের কাজ থমকে গিয়েছে। কিন্তু এই অংশের কাজ প্রায় শেষের দিকে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের একাংশের মতে আগামী বছর জানুয়ারির শুরুর দিকেই চালু হতে পারে এই অংশের পরিষেবা। মঙ্গলবার কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় রেড্ডি কেএমআরসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনুজ মিত্তল মেট্রোর কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। কাজের অগ্রগতি দেখে তিনি খুশি। সূত্রের খবর, আগামী বছর, ২০২৫ সালের প্রথম দিকেই গ্রিন লইনের এই অংশের কাজ শেষ করে পরিষেব চালু করা সম্ভব হবে।
বর্তমানে হাও়়ড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যান্ড আর শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চলে। এসপ্ল্যান্ড ও শিয়ালদহের মধ্যে কাজ একধিক কারণে আটকে ছিল। আইনি জটিলতাও ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই কাজ প্রায় শেষের দিকে।
হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবায় যে অংশ মাটির নীচ দিয়ে যাবে, সেখানে দু’টি সুড়ঙ্গ রয়েছে। তার মধ্যে পূর্বমুখী অর্থাৎ সেক্টর ফাইভমুখী সুড়ঙ্গের কাজ অনেক দিন আগেই শেষ হয়েছে। লাইন পাতাও শেষ। ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে মেট্রোর খালি রেক প্রায়ই যাতায়াত করে। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ খোঁড়ার সময়। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহমুখী ওই সুড়ঙ্গ কাটার সময় সমস্যা হয় বৌবাজারের কাছে। ২০১৯ সালে অগস্ট মাসে সুড়ঙ্গ কাটার যন্ত্রের মাধ্যমে মাটি কাটার সময় ধস নামে বৌবাজার এলাকায়। তড়িঘড়ি বন্ধ করতে হয় কাজ। নির্মীয়মাণ ওই সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ৪০ মিটার। ২০২২ সালের মে এবং অক্টোবরে ওই অংশ কাজ করার সময় দফায় দফায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জল ঢুকে পড়ে সুড়ঙ্গের মধ্যে। বার বার বিপত্তির কারণে কাজ বন্ধ হওয়ায় এত দিনেও শিয়ালদহ এবং এসপ্ল্যানেডের মধ্যে পরিষেবা চালু সম্ভব হয়নি।