- Home
- West Bengal
- Kolkata
- যুদ্ধপরিস্থিতিতে মে মাসে কোনও ছুটি পাবেন না সরকারি কর্মীরা? নবান্ন থেকে বড় বার্তা দিলেন মমতা
যুদ্ধপরিস্থিতিতে মে মাসে কোনও ছুটি পাবেন না সরকারি কর্মীরা? নবান্ন থেকে বড় বার্তা দিলেন মমতা
আচমকা খারাপ খবর সরকারি কর্মীদের জন্য! মে মাসে ছুটি নেওয়ার ব্যাপারে বড় বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুদ্ধপরিস্থিতিতে মে মাসে কোনও ছুটি পাবেন না সরকারি কর্মীরা? কী আপডেট দিচ্ছে নবান্ন? জেনে নিন।

গোটা দেশজুড়ে এখন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। পহেলগাঁও হামলার পর দেশজুড়ে যেভাবে হাওয়া গরম হয়ে উঠেছে, তার জবাব হাতেনাতে দিচ্ছে ভারতীয় আর্মি।
অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতরে প্রবেশ করে একে একে নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
আর এই রক্তাক্ত অভিযানের পর গোটা দেশের সঙ্গে তৎপর হয়েছে বাংলা প্রশাসনও।
হ্যাঁ, এমনই এক জটিল পরিস্থিতিতে বড়সড় ঘোষণা করে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই মুহূর্তে দেশ এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকে আমরা একমত হয়েছি।
তিনি বলেন এখন আমাদের সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। পুলিশ থেকে প্রশাসন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এখনই দেশকে রক্ষা করার উপযুক্ত সময়। তাই জরুরি পরিস্থিতিতে সমস্ত ছুটি বাতিল করা হচ্ছে।
মমতা আরো জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রতিটি পুলিশ সুপার, জেলাশাসক, বিডিও এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের আলাদাভাবে সতর্ক করা হয়েছে মোবিলিটি বাড়ানোর জন্য। এমনকি নজরদারি জোরদার করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষা ব্যবস্থাতেও বিরাট পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিকে মৌখিকভাবে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার অনুরোধ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানিয়েছেন, বাচ্চারা বাড়িতে থাকলে ভালো হবে। নিরাপদে থাকবে। বাংলা মাধ্যম স্কুলে যেমন আগেই গরমের ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে, তেমনই ইংরেজি মাধ্যমেও আগে থেকে ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে উচ্চপর্যয়ের বৈঠক সেরে ফেলেছেন। বৈঠকের পর সেনা এবং আধা সামরিক বাহিনীর সমস্ত ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেনাবাহিনীর প্রধানকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে যেন প্রস্তুতি বজায় রাখে।

