সংক্ষিপ্ত
আসছেন দেবী দুর্গা। একটু বৃষ্টি, একটু রোদ। আর তার মাঝেই আকাশে নীল-সাদা মেঘের আনাগোনা।
আসছেন দেবী দুর্গা। একটু বৃষ্টি, একটু রোদ। আর তার মাঝেই আকাশে নীল-সাদা মেঘের আনাগোনা।
অর্থাৎ, পুজো আসছে। তাই জোরকদমে শুরু হয়ে গেছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। আর এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই সল্টলেক আইডি ব্লকও। এবার এখানে এলে দর্শকরা এক ঝটকায় পৌঁছে যাবেন সেই ২০৫০ সালে। তখনকার কলকাতায় দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) ঠিক কেমন হবে? জানতে গেলে আসতে হবে এখানে।
শুধু তাই নয়, দেখা মিলবে ঘূর্ণায়মাণ মণ্ডপের। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহের পারদ চড়ছে ক্রমশ।
কল্পবিজ্ঞানের ছবি এবং গল্প-উপন্যাসর বিভিন্ন ছত্রে আগামী পৃথিবীর দেখা মেলে অনেকসময়। আর এবার ঠিক তেমনই এক ভবিষ্যতের ছবি ফুটে উঠবে এখানেও। এইরকমই পরিকল্পনাকে সামনে রেখে পুজো পরিচালনা করছে সল্টলেক আইডি ব্লক।
মূল পরিকল্পনার পিছনে রয়েছে বিধাননগর ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা রঞ্জন পোদ্দার। দেবী দুর্গার রূপদান করছেন শিল্পী প্রশান্ত পাল। মহম্মদ আলি পার্কের পুজোয় বাহুবলী থিমটি তৈরি করে যিনি প্রবল খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তবে এবার নতুন এক থিমকে গড়ে তুলতে চাইছেন তিনি।
অন্যদিকে, দর্শনার্থীদের জন্য সবচেয়ে বড় চমক হল ঘূর্ণায়মাণ মণ্ডপ। উদ্যোক্তারা বলছেন, এই প্রথম কলকাতায় দেখা যাবে এইরকম ঘূর্ণায়মাণ মণ্ডপ। মূল প্যাণ্ডেলটি হবে ১০৭ ফুট উচ্চতার। আর ৮০ ফুট উপর থেকে সেটি ঘুরতে থাকবে ক্রমাগত।
সেইসঙ্গে, দেখা মিলবে এয়ার ট্যাক্সি, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সেরও। এমনকি, কলকাতায় দুরন্ত গতির বুলেট ট্রেনেরও সাক্ষী থাকবেন দর্শনার্থীরা। নিঃসন্দেহে ছোটদের সঙ্গে বড়দেরও তাক লেগে যাবে দেখে। সেইরকমই আশা করছেন পুজো কমিটির কর্তারা। তবে প্রতিমার মুখ হবে সাবেকি ঘরানার। দেখা মিলবে চিরন্তন মাতৃমুখের দর্শন।
এবার ৩৮ তম বর্ষে পা দিতে চলেছে সল্টলেক আইডি ব্লকের পুজো। গত ১৯৮৭ সাল থেকে শুরু হয়েছে এই পুজো। যদিও প্রথম তিন বছর পুজো আয়োজিত হত একজনের বাড়িতে। এরপর ১৯৯০ সাল থেকে মাঠে শুরু হয় পুজো। তারপর থেকে সেখানেই হয়ে আসছে।
প্রতিবছর নিত্যনতুন চমক দিয়ে আসছেন তারা। আর এবারের থিমটি যেন সত্যিই অভূতপূর্ব।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।