সংক্ষিপ্ত
আরজি করের পাশবিক নারকীয় ধর্ষণ নিয়ে গোটা দেশ ফুঁসছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল নির্যাতন করার পিছনে ক'জন জড়িত? সেদিন রাতে আদৌ কি সেমিনার রুমেই ঘটেছিল এই নৃশংস ঘটনা? যা নিয়ে তদন্তে নেমেই উদ্বিগ্ন সিবিআই আধিকারিকরা।
যত সময় গড়াচ্ছে আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডে সামনে আসছে নতুন তথ্য। গত শুক্রবার খাস কলকাতার এই হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সূত্র ধরে সঞ্জয় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। আর তারপরই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন গোয়েন্দারা। আর তারপরই উঠে এল বড় তথ্য।
এদিকে, আরজি করের পাশবিক নারকীয় ধর্ষণ নিয়ে গোটা দেশ ফুঁসছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল নির্যাতন করার পিছনে ক'জন জড়িত? সেদিন রাতে আদৌ কি সেমিনার রুমেই ঘটেছিল এই নৃশংস ঘটনা? যা নিয়ে তদন্তে নেমেই উদ্বিগ্ন সিবিআই আধিকারিকরা।
মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল কোনওভাবে যুক্ত ধর্ষণ-খুনের ঘটনায়? তিনিই কোনও তথ্য লোপাটের চেষ্টা করছিলেন, যার জেরে একাধিক ব্যক্তির প্রবেশ সেই অবিশপ্ত সেমিনার হলে! এই সমস্ত যাবতীয় বিষয় জানতে আজ ফের তলব করা হয় সন্দীপ ঘোষকে। ঘটনায় মোট চার চার বার ডাকা হয় সন্দীপকে। তাঁর বয়ানে একাধিক জায়গায় অসঙ্গতির অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত সেই কারণেই তাঁকে ফের ডাকা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে।
সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার আসল রহস্য জানতে বারংবার হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে ফরেনসিক টিম। সঙ্গে থাকছে অত্যাধুনিক থ্রিডি স্ক্যানার। কিন্তু এই গোটা ঘটনায় পুরোটাই তথ্য লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। কারণ, সেদিন থেকে ক্রাইম স্পটে একাধিক ব্যক্তির প্রবেশ হয়েছে। ফলে পায়ের ছাপটাও ঠিক মত বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, একাধিক ব্যক্তির হাতের ছাপ মিলেছে। পুরো ক্রাইম স্পট জুড়ে একাধিক ব্যক্তির হাত এবং পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমত সিবিআই ধন্দ্বে রয়েছে বলে অনুমান।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।