সংক্ষিপ্ত
গত বছরই পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির হদিশ মেলে। অভিযোগ ওঠে টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে হাজার হাজার চাকরি। এরপরই আদালতের নির্দেশে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চলছে। এ যেন সেই হিমশৈলের চূড়া আবিষ্কারের মত ব্যাপার। প্রায় প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে নতুন নতুন তথ্য, যা চমকে দেওয়ার মত। এদিকে, পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কী রয়েছে সেই রিপোর্টে! রিপোর্টে যা রয়েছে, তা চমকে দিয়েছে খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের।
গত বছরই পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির হদিশ মেলে। অভিযোগ ওঠে টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে হাজার হাজার চাকরি। এরপরই আদালতের নির্দেশে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় সংস্থা। শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের সূত্র ধরেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে। জানা যায় আদালতে রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই জানিয়েছে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তার সংস্থার মাধ্যমে ১৭টি পুরসভায় দুর্নীতি হয়েছে। আর মোট ১,৮২৯ জনকে অবৈধ ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রোমোটার অয়ন শীলের সূত্র ধরেই গত বছরের শেষের দিকে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি, সিবিআই। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে চলে চিরুনি তল্লাশি। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ইডি দাবি করে, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অয়ন শীল ৩৫ কোটিরও বেশি টাকা তুলেছিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার চাকরি আগাম ‘বিক্রি’ করে এই টাকা হাতে আসে অয়নের। এরপর তদন্তে নেমে একটি হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপেরও সন্ধান পায় ইডি। ওই গ্রুপের মাধ্যমেই যাবতীয় দুর্নীতি, চাকরি বিক্রি হয় বলে দাবি করে ইডিও। সব মিলিয়ে তদন্ত শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা ভেবে উদ্বিগ্ন বিচারপতিরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।