সংক্ষিপ্ত
আদালতে ইডির দাবি, কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিন্হার নির্দেশে ভুয়ো সুপারিশপত্র তৈরির কাজ করেছিলেন এসএসসির অস্থায়ী কর্মী সমরজিৎ আচার্য।
বিস্ফোরক দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। আদালতে ইডির আধিকারিকরা ফাঁস করেছেন ভয়ঙ্কর তথ্য। ইডির দাবি টাকার বিনিময়েই চাকরি পেয়ে যেতেন অযোগ্যরা। কিন্তু জানেন কী ভাবে অযোগ্য প্রার্থীদের নাম স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্যানেলের জন্য সুপারিশ করা হত? নিয়োগপত্রই বা কী ভাবে মিলত? এই নিয়েই এবার আদালতে বড় তথ্য ফাঁস করল ইডি ।
আদালতে ইডির দাবি, কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিন্হার নির্দেশে ভুয়ো সুপারিশপত্র তৈরির কাজ করেছিলেন এসএসসির অস্থায়ী কর্মী সমরজিৎ আচার্য। বেআইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে এক দফতর থেকে অন্য দফতরে কী ভাবে ইমেলের মাধ্যমে সঙ্গতি রাখা হত সেই বিষয়েও আদালতে জানায় ইডি। ইডির চার্জশিটে নাম রয়েছে এসএসসির অস্থায়ী কর্মী সমরজিতের।
আদালতে নিজেদের নথি পেশ করে ইডি জানিয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ন হওয়ার পর ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর ভুয়ো সুপারিশপত্র 'প্রিন্ট' করিয়েছিলেন এই সমরজিৎ আচার্য। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদের নির্দেশেই সমস্ত কিছু চালনা করতেন সমরজিৎ।
ইডি আরও জানায় 'মিডলম্যান' প্রসন্নকুমার রায়ের থেকে নিয়োগের সুপারিশ এসেছিল। আর তার হয়ে এই দুর্নীতির কাজ করতেন প্রদীপ সিং ওরফে ছোটু। ওই অযোগ্য প্রার্থীর ভুয়ো সুপারিশপত্র 'প্রিন্ট' করিয়ে তার 'সফ্ট কপি' পর্ষদের দফতরে পাঠিয়েছিলেন সমরজিৎ। এর পর সংশ্লিষ্ট দফতরই অযোগ্য ১৮৩ জনকে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেয়।
ইডি আরও জানিয়েছে প্রসন্নর অধীনে থাকা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের এজেন্টদের মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের তথ্য সহ তাদের থেকে টাকা তুলতেন তার কর্মী ছোটু। ইতিমধ্যেই কমিশনের অস্থায়ী কর্মী সমরজিৎকে অযোগ্য প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করে যে ইমেল ছোটু পাঠিয়েছিলেন তা পেয়েছে ইডি। ২০২০ সালের ১৬ জুন সমরজিৎকে প্রদীপ ওরফে ছোটু ওই মেল করেছিলেন বলে দাবি ইডির। ২১ জন অযোগ্য প্রার্থীর নামের সুপারিশ করে মেল পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।