সংক্ষিপ্ত

পুলিশ জানিয়েছে, খারাপ আচরণের জন্য ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে তাঁরা। বাকিরা গ্রেফতার নিষিদ্ধ বাজি ফাটানোর কারণে। তবে কালীপুজোর রাত ৮টা পর্যন্ত কোথাও থেকে কোনও নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়নি।

কলকাতা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে অন্তত ৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো এবং অভব্য আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। যদিও দ্বিতীয় কারণের জন্যই বেশিজন গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, খারাপ আচরণের জন্য ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে তাঁরা। বাকিরা গ্রেফতার নিষিদ্ধ বাজি ফাটানোর কারণে। তবে কালীপুজোর রাত ৮টা পর্যন্ত কোথাও থেকে কোনও নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়নি।

চলতি বছর কালীপুজোর আগের সপ্তাহে নিষিদ্ধ বাজি রাখায় ৩৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় চার হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি। তারপর পুজোর দিন আবার এতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কালীপুজো বা দীপাবলির রাতে শুধু ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু বৃহস্পতিবার দেখা যায় নির্দিষ্ট সময়সীমার পরও বাজি ফেটেছে। তার মধ্যে সবুজ বাজি ছাড়াও যে নিষিদ্ধ বাজি ছিল তাও হলফ করে বলা যায়। বিভিন্ন আবাসন থেকে শুরু করে বড় রাস্তা, সব এলাকাতেই বাজির বাড়বাড়ন্ত দেখা গেছে প্রতিবারের মতো। তবে এবার পুলিশি নজরদারিও অনেক বেশি ছিল।

প্রসঙ্গত, ছটপুজো এবং বড়দিনের আগের রাত ও নববর্ষের রাতেও কতক্ষণ বাজি ফাটানো যাবে, তার সময়সীমাও ইতিমধ্যে জানিয়েছে পুলিশ। ছট পুজোয় শুধু ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং বাকি দুই রাতে ১১.৫৫টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে।

কালীপুজোর আগেই বিবৃতি প্রকাশ করে কলকাতা পুলিশ জানিয়ে দিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সবুজ বাজি ফাটাতে হবে। বাজি ফাটানোর সময়সীমাও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কালীপুজোর রাতে দেদার ফাটল নিষিদ্ধ বাজি। তার জেরে একাধিকজন গ্রেফতারও হল।