সংক্ষিপ্ত

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে নিয়ে মদন মিত্র এবং কল্যাণ ব্যানার্জির মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ। মদন মিত্র, কল্যাণ ব্যানার্জির বিরুদ্ধে তীব্র ব্যঙ্গোক্তি করেছেন। ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে।

ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধ।একে অপরের বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছে। ইদানিং মদল কল্যাণের তর্ক-বিতর্ক ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, কার আশীর্বাদে তিনি এখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। নিশানায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। বলেছেন, "দল অবশ্যই গণনা করছে। আমি ন্যায়বিচার করব।"

মদন মিত্র আরও বলেন, "তুমি জানো না ত্রিনাঙ্কুরের মাথায় কার হাত? তোমার ক্ষমতা থাকলে তাকে গিয়ে বল? অকেজো ভাট বকে, ভাবো কার বিষয়ে কথা বলছো। যেখানেই যান না কেন? তোমার পা, কঠিন হয়ে যাবে তুমি তেল আর জলের মতো।" মদনের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃপায় কল্যাণ আজ এই অবস্থানে পৌঁছেছেন। আসানসোলে হেরে আবার শ্রীরামপুরের আসন কীভাবে পেলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মদন মিত্র।

এই বিষয়ে এক কর্মসূচিতে মদন মিত্র বললেন, বড় বড় কথা বলছেন তিনি যেন করুণার ঊর্ধ্বে। তার নিশানায় রয়েছেন কল্যাণ ব্যানার্জিও। ক্ষমতাসীন দলে কী চলছে! ত্রিনাঙ্কুর-কে নিয়ে মন্তব্য করায় কল্যাণের ওপর ক্ষুব্ধ মদন মিত্র। তাঁর মতে, ত্রিনাঙ্কুর থাকবে কি থাকবে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নেবেন। এই বিষয়ে মতামত দেওয়ার অধিকার কল্যাণের নেই।

তিনি বলেছিলেন, "যখনই কিছু ঘটে, কল্যাণ মমতার বাড়িতে যায় এবং বলে, দিদি আপনি যা বলবেন...' আসলে, এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়া। তারা এমন প্রাণী যারা সেই দয়ায় উন্নতি করে।" ত্রিনাঙ্কুর নিয়ে মন্তব্যের জন্য দলের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন মদন। তার শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি মনে করেন, কল্যাণের কথা আরও পাঁচজন শুনলে তারাও একই কথা বলবে। এভাবে দলের অভ্যন্তরে থেকে হামলা করা যায় না।