সংক্ষিপ্ত

সংবাদ মাধ্যমে পাওয়া খবর অনুযায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জানিয়েছেন, পরীক্ষার হলেই অশালীন প্রস্তাব দেয়। পরীক্ষা হলের মধ্যেই অশালীন আচরণ করেন। ছাত্রী বলেছেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর প্রথম বর্ষের প্রথম পরীক্ষার দিন।

 

আবারও কাঠগড়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার পরীক্ষা হলের মধ্যেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনলেন এক ছাত্রী। কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে। গোটা ঘটনা ইমেলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ছাত্রী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে জানিয়েছেন। পাশপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদাধিকারীদেরও জানিয়েছেন।

সংবাদ মাধ্যমে পাওয়া খবর অনুযায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জানিয়েছেন, পরীক্ষার হলেই অশালীন প্রস্তাব দেয়। পরীক্ষা হলের মধ্যেই অশালীন আচরণ করেন। ছাত্রী বলেছেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর প্রথম বর্ষের প্রথম পরীক্ষার দিন। সেই দিনই অধ্যাপক সকলের সামনে তাঁর নাম ধরে ডাকেন। বলেন, তাঁকে শারীরিক তল্লাশি নিতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে টুকলির অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, সকলের সামনেই তাঁর তল্লাশি নেওয়ার কথা বলা হয়। অধ্যাপক তাঁকে বলেছিলেন হয় তল্লাশি করতে দিতে হবে। নাহলে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। বাধ্য হয়েও ছাত্রী শারীরিক তল্লাশিতে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু তার কাছ থেকে কোনও চিরকূট পাওয়া যায়নি।

ছাত্রী আরও জানিয়েছেন, এখানেই শেষ নয়, অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সিনিয়ার পড়ুয়ার মাধ্যমে ছাত্রীর কাছে অশালীন প্রস্তাব পাঠান। ছাত্রীর কথায় তাঁর বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের দুই ছাত্র তাঁকে বলে, 'স্যারের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে হবে। বাকি কোনও অসুবিধা যাতে না হয় তা আমরা দেখে নেব।' এই প্রস্তাবে ছাত্রী নিজেকে অসহায় বোধ করেন। তারই সুবিচারের আশা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছে।

ছাত্রীর কথায় কলকাতার বাসিন্দা তিনি নন। পড়াশুনার সূত্রে কলকাতা পেইংগেস্ট হিসেবে থাকেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া তাঁর স্বপ্ন। কিন্তু এখন তিনি অসহায় বোধ করছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর অভিযোগ মানতে নারাজ জুটা। তাদের অভিযোগ, ছাত্রী মিথ্যা কথা বলছেন। জুটার অভিযোগ ছাত্রী পরীক্ষার হলে নকল করছিলেন। তাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তাতেই তিনি এজাতীয় অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযুক্ত অধ্যাপক এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।