Omar Abdullah Kolkata visit: বঙ্গ সফরে এসেছেন জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর যেভাবে কাশ্মীরে পর্যটন শিল্প মার খাচ্ছে তাতে আবদুল্লাহর এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। 

Kolkata News: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার প্রায় আড়াই মাস পর কলকাতায় ওমর আব্দুল্লা । জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার একটি পর্যটন মেলাতে অংশ নেবেন। মূলত পহেলগাঁও ঘটনার পর ভূস্বর্গের পর্যটন বেশ কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি কাশ্মীর পর্যটনের একটা বড় অঙ্গ। একথা মাথায় রেখেই ভূস্বর্গের পর্যটনকে ফের চাঙ্গা করার লক্ষ্যে বাংলার পর্যটন মেলায় জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি আলাদা মাত্রা এনে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

নবান্ন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ নবান্নে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহর বৈঠক হতে পারে। জম্মু কাশ্মীরে গত এপ্রিল মাসে জঙ্গি হামলার পর জাতীয় স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশে দাঁড়িয়েছিল। সেই আবহে বৃহস্পতিবার কলকাতায় জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সাক্ষাৎ যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ তা বলা বাহুল্য।

শুধু তাই নয়, জাতীয় স্তরে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা যে বেশ ভালোই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে এসে দেখা করে গিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। আর এবার সরাসরি মমতা সাক্ষাতে আসছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।

রাজনৈতিক মহলের মতে, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলায় কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প ব্যাপক ভাবে ধাক্কা খেয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে ভূস্বর্গের জনপ্রিয়তা। এই পরিস্থিতিতে একদিকে রুটিরুজি অন্যদিকে মার খাচ্ছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় গোটা দেশের পাশাপাশি বাঙালিরাও যাতে আবার কাশ্মীরমুখি হন সেই বিষয়েও রাজ্যের সর্বোচ্চ নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন ওমর আবদুল্লাহ। একইসঙ্গে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের একাধিক নীতি, ভোট নিয়েও দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে আলাপ আলোচনা হতে পারে বলে সরকারি সূত্রে খবর।

অন্যদিকে, টাটার ন্যানো কারখানার বিরুদ্ধে সিঙ্গুর আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক মাইলেজ পাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সেই টাটার জন্যই রাজ্যের দরজা খুলে দিয়েছেন। সিঙ্গুর আন্দোলন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিআই(এম) শাসনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রধান বিরোধী নেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদ পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন। প্রায় ১৮ বছর আগে এই আন্দোলনের সময় টাটা মোটরস তাদের ন্যানো গাড়ির কারখানা বাংলা থেকে গুটিয়ে গুজরাটে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু এখন বঙ্গ এবং টাটা গ্রুপের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে টাটা গোষ্ঠী বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে রাজ্যে এসেছিল। হুগলির সিঙ্গুরে তৈরি হচ্ছিল টাটা ন্যানোর কারখানা। এটি ছিল রতন টাটার স্বপ্নের প্রকল্প। কিন্তু সেই স্বপ্নে বাধ সাধে জমি আন্দোলন। সিঙ্গুরের ৯৯৭ একরের মধ্যে ৪০০ একর জমি কৃষিজমি বলেই দাবি করা হয়। অনিচ্ছুক চাষিদের জমি জোর করে নেওয়া হচ্ছে অভিযোগ তোলা হয়।

Scroll to load tweet…

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।