সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। সল্টলেকের বিসি ব্লকের পাশাপাশি দুটি বাড়িতে একসঙ্গে তল্লাশি চালান হয়।

 

১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় হয়ে গেছে কেটে গেছে, এখনও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি থেকে বার হয়নি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের

আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকালেই ইডি হানা দেয় রাজ্যের বনমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পকতিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আরও দুটি গাড়ি করে তৃণমূল নেতার বাড়িতে আসে ১০-১১ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। সল্টলেকের বিসি ব্লকের পাশাপাশি দুটি বাড়িতে একসঙ্গে তল্লাশি চালান হয়। ইডি সূত্রের খবর, দুর্নীতি মামলায় বাকুবুর রহমনের গ্রেফতারির পরেই নাম উঠেছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। তারপরই ইডি-র আতশকাচের তলায় ছিল প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশাপাশি তাঁর আপ্তসহায়ক অমিত দের নাগেরবাজারের দুটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালায় ইডি। তবে সেই সময় ফ্ল্যাটে ছিলেন না অমিত দে। তাঁর খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে ইডি।

অন্যদিকে ইডির তল্লাশির কারণে সকাল থেকেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের বাড়ির সামনে প্রবল ভিড় ছিল। উৎসাহী জনতাকে সরাতে ঘটনাস্থলে আসে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকরা সরাসরি মন্ত্রীর বাড়ির ভিতরে ঢুকে ইডির সঙ্গে কথা বলে। তারপরই মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ব্যারিকেড বসান হয়। ইডি সূত্রের জানান হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বর্তমানে ভাল রয়েছেন।

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িরে দ্বাদশীর দিন ইডির তল্লাশি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কালীঘাটের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানেই এই তল্লাশির তীব্র নিন্দা করেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মীদের মনে করিয়ে দেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সুগারের রোগী।