সংক্ষিপ্ত
মন্ত্রীত্বকালে কি সম্পত্তির পরিমান আরও বেড়েছে? ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে বিভিন্ন রেশন ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে সিন্ডিকেট তৈরি করে কেন্দ্রের পাঠানো ন্যায্য মূল্যের রেশনসামগ্রী বেআইনি ভাবে খোলা বাজারে বিক্রি করা অভিযোগ জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে।
রেশন দুর্নীতি মামলায় গারদের ওপারে রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাজ্যরাজীতিতে তাঁকে এক ডাকে চেনা যায় বালু বলে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে রেশন বণ্টন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র মিলেছে তাঁর বাড়ি থেকে। প্রায় ২০ ঘন্টা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পটীবার গভীর রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের একাধিক সম্পত্তি ও শান্তিনিকেতনের বাড়ি দোতারা নিয়েও উঠ আসছে একাধিক প্রশ্ন। তবে ঠিক কত সম্পত্তি বালুর? মন্ত্রীত্বকালে কি সম্পত্তির পরিমান আরও বেড়েছে? ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে বিভিন্ন রেশন ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে সিন্ডিকেট তৈরি করে কেন্দ্রের পাঠানো ন্যায্য মূল্যের রেশনসামগ্রী বেআইনি ভাবে খোলা বাজারে বিক্রি করা অভিযোগ জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে।
২০১১ সাল থেকে মন্ত্রীত্ব উপভোগ করছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত টানা খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন বালু। ২০১১ এবং ২০২১ সালে বালুর দেওয়া নির্বাচনী হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির যে পরিমান দেখানো হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে ২০১১-এর তুলনায় তাঁর স্থাবর অস্থাবর অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। দশবছরের মন্ত্রীত্বকালে বালুর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ গুণ। এখানেই শেষ নয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমান বেড়েছে ২৬ গুণ।
কী জানানো হয়েছে নির্বাচনী হলফনামায়?
নির্বাচনী হলফনামায় জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে তাঁর উপার্জন ছিল ৪০ লক্ষ ২১ হাজার ৯১০ টাকা। তাঁর স্ত্রীর রোজগার ছিল ১৮ লক্ষ ১১ হাজার ৬৫০ টাকা। স্থাবর অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমান ৩ কোটি ৯৩ লক্ষ ৯৪ হাজার। উল্লেখ্য ২০১১ সালে নির্বাচনের আগে কমিশনকে যে হলফনামা দিয়েছিলেন জ্যোটীপ্রিয় সেখানে তাঁর সম্পত্তির পরিমান ছিল ৭১ লক্ষ ১১ হাজার ৫১৪ টাকা। অর্থাৎ ১০ বছরের মন্ত্রীত্বে ৪৫৪ শতাংশ বেড়েছে বালুর সম্পত্তি। এছাড়া ২০১১ সালের ভোটের আগে জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমান ছিল ৯ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৩০ টাকা। ২০২১ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৩৮ লক্ষ ৯ হাজার ৭০৮ টাকা। দুটি নির্বাচনী হলফ নামাতেই বালুর পেশা ওকালতিই দেখানো রয়েছে। তাঁর আয়ের উৎস হল বেতন। উল্লেখ্য বালুর স্ত্রী-এর আয়ের কোনও উৎস নেই।
২০১১ সালের হলফনামায় সম্পত্তির বিবরণ ও ব্যাখ্যা হিসেবে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর ১৫টি সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। এছাড়া রেকারিং ডিপোজ়িট অ্যাকাউন্ট ছিল দু’টি। এসবিআইতেও রয়েছে জ্যোতিপ্রিয়ের নামে ১২টি ফিক্সড ডিপোজিট। ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে রয়েছে দু’টি আর একটি সমবায় ব্যাঙ্কে রয়েছে ২০টি ফিক্সড ডিপোজিট। এছাড়া পোস্ট অফিসেও তাঁর সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা গচ্ছিত রয়েছে। নগদ ছাড়াও রয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার সোনার গয়না । ২০১১ সাল পর্যন্ত বালুর নামে থাকা তিনটি জীবনবীমার একটিতে ১৫ লক্ষ টাকার প্রিমিয়াম জমা পড়েছিল।
আরও খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে: https://whatsapp.com/channel/0029Va9a73wK0IBjbT91jj2D