সংক্ষিপ্ত

উত্তরপাড়ায় ‘রাত জাগো’, স্ট্রিট পেন্টিং এবং মশাল জ্বালো কর্মসূচিতে এসে জানালেন, সবার জন্য বিচার চেয়ে পথে নামছে নাগরিক সমাজ। কোনও এক জনের জন্য এই আন্দোলন নয়।

 

আরজিকর ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনের মাঝেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হুগলির কোন্নগরের এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ, আরজি করে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ২২ বছরের বিক্রম ভট্টাচার্যের। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলেন ‘জাস্টিস ফর কোন্নগর’। তাঁর যুক্তি, আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের বিচার যেমন দরকার, তেমনই ওই হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়া যুবকের জন্য বিচার প্রয়োজন। শ্রীরামপুরের সাংসদের এই মন্তব্যের পর তাঁকে দলীয় পতাকা ছাড়া আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। উত্তরপাড়ায় ‘রাত জাগো’, স্ট্রিট পেন্টিং এবং মশাল জ্বালো কর্মসূচিতে এসে জানালেন, সবার জন্য বিচার চেয়ে পথে নামছে নাগরিক সমাজ। কোনও এক জনের জন্য এই আন্দোলন নয়।

সোহিনী বলেছেন, সবাই রাজপথে, সবাই 'ন্যায়বিচার' দাবি করছে, প্রতিবাদ করছে, সরকারের কাছে সকলেই কিছু দাবি করছে, কিন্তু এটা একজনের জন্য নয়। সারা দেশের জন্য। এই পশ্চিমবঙ্গের জন্য, "অভিনেত্রী বলেছেন, "'রিক্লেম দ্য নাইট' ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল। আজ ৮ সেপ্টেম্বর। এতদিন যত মানুষ রাজপথে এসেছে, তারা একজনের জন্য আসেনি। তারাও নিজেদের জন্য নেমে গেল। তিনি অন্যদের জন্যও নেমে গেলেন। এই আন্দোলন দুর্নীতির বিরুদ্ধে, সিস্টেমের অবহেলা সংশোধন করার জন্য। তাই তিনি তৃণমূলের নেতাকে বলতে চেয়েছেন, এসে আমাদের আন্দোলনে যোগ দিতে পারেন। তিনি দলীয় পতাকা ছেড়ে যোগ দিন।

শুক্রবার হুগলির কোন্নগরের যুবক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। শ্রীরামপুর হাসপাতাল থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি করে। মৃতের মায়ের অভিযোগ, জরুরি বিভাগ থেকে বর্হিবিভাগ দৌড়ে বেড়িয়েও ছেলের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে পারেননি। শেষে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে বিক্রম মারা যান বলে দাবি পরিবারের। আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে যখন দৈনিক নাগরিক আন্দোলন চলছে, তখন ছেলের মৃত্যুর বিচার চেয়েছেন মা কবিতা ভট্টাচার্য। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলেই শুরু হয়েছে চর্চা।