কসবা গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত মনোজিতের বিরুদ্ধে একের পর এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠছে। প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার জেরে আইনের ছাত্রীকে ৩ ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের অভিযোগ। কলেজ থেকে তিন অভিযুক্তকে বহিষ্কার।
Kasba Case: আমার নাম ম্যাঙ্গো। শ্যুট করে দেব কিন্তু আমরা। ফোন এসেছিল তাঁরা কাছে। অপরাধ? কারণ,তাঁর ছেলে মনোজিতের লবিতে যোগ দেয়নি। এখনও ফোনের কথা ভাবলে কেঁপে ওঠেন তাঁরা। ছেলেক পড়তে পাঠিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। কলেজের যে মেয়ের ওপর নজর পড়বে তাকেই যৌন নির্যাতন। তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর ছেলে হলেই তাঁকে মেকে দেওয়ার হুমকি। এমনই ছিল কসবা গণধর্ষণে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র নিয়ম। একটা দুটো নয়, একের পর এখ অন্যায়ের ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠছে মনোজিতের বিরুদ্ধে।
সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র জানালেন, তিনি মনোজিতের কথা মানতে চাননি, ভিড়তে চাননি তাঁর দলে। তার পরিণাম ভুগতে হয়েছিল বাবা-মাকে। ফোন করে কার্যত প্রাণে মারারই হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মনোজ কুমার পাণ্ডের কথায়, মা-বাবাকে হুমকি দেয়। যে আপনার ছেলেকে কলেজে ঢুকতে দেব না। বলেছিল গুলি করে মেরে দেব। তুলে নিয়ে যাব। তারপর বলেছিল পেট কেটে দেব। একপ্রকার হত্যা করারই হুমকি দিয়ে গেছিল। বলেছিল যে আপনার ছেলেকে গায়েব করে দেব।
অভিযোগ, গত ২৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘন্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের গার্ডস রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে আইনের ছাত্রীদের ওপর। নির্যাতিতা শাসকদলের ছাত্র সংগঠনে কর্মী। পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, কলেজের প্রাক্তনী তথা প্রভাবশালী নেতার প্রেম তথা বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার অপরাধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে সহায়তা করেছেন আরও দুজন।
এদিকে আবার কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত তিন জনকে বহিষ্কার করা হল কলেজ থেকে। মনোজ এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং কলেজের অস্থায়ী কর্মী। সেই পদে থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জইব আহমেদ এই কলেজের পড়ুয়া। তাঁদেরও বহিষ্কার করা হয়েছে।


