Khudiram Bose: ভারতের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্যতম আলোচিত নাম ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী (Prafulla Chaki)। বুধবার ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবসে এশিয়ানেট নিউজ বাংলার মুখোমুখি প্রফুল্ল চাকীর উত্তরসূরি সুব্রত চাকী।

DID YOU
KNOW
?
এক বছর বড় প্রফুল্ল চাকী
ক্ষুদিরাম বসুর চেয়ে এক বছরের বড় প্রফুল্ল চাকী। কয়েক মাসের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করেন এই দুই বিপ্লবী।

Khudiram Bose Birth Anniversary: ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী (Prafulla Chaki)। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামে একসঙ্গে এই দুই নাম উচ্চারণ করা হয়। ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসির ১১৭ বছর পর এই দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী সম্পর্কে কী মনোভাব প্রফুল্ল চাকীর পরিবার? এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সঙ্গে একান্ত কথোপকথনে প্রফুল্ল চাকীর প্রপৌত্র সুব্রত চাকী জানিয়েছেন, 'ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকীর বয়স ছিল কাছাকাছি। প্রফুল্ল চাকীর জন্ম ১৮৮৮ সালের ১০ ডিসেম্বর। ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর। প্রায় এক বছরের বড় প্রফুল্ল চাকী। তাঁর জন্ম অবিভক্ত বাংলার উত্তরবঙ্গে। ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম অবিভক্ত মেদিনীপুরে। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তাঁরা দু'জন একত্রিত হয়ে অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে (Douglas H Kingsford) হত্যা করার উদ্দেশ্যে মুজফফরপুরে (Muzaffarpur) যান। এই দুই তরুণ যে উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন তাতে সম্পূর্ণ সফল হননি। কিন্তু তাঁরা ব্রিটিশ শাসনের ভিত নাড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন। সারা দেশ আলোড়ন তৈরি করেছিলেন।'

হতাশ প্রফুল্ল চাকীর পরিবার

ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী পূর্ণ স্বরাজের দাবিতে স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিলেও, দেশভাগের মাধ্যমে স্বাধীনতা এসেছে। বিপ্লবীরা যে ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাও পূরণ হয়নি। এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে সুব্রতবাবু বলেছেন, 'কয়েকদিন পরেই প্রফুল্ল চাকীর জন্মদিবস পালন করতে চলেছি আমরা। কিন্তু এখন প্রফুল্ল চাকীর জন্মস্থান সম্পর্কে বলতে গেলে সবাইকে বোঝাতে হয়, তাঁর জন্মস্থান বাংলাদেশের এক গ্রাম। আমরা পূর্ণ স্বরাজ পাইনি। এই স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেননি প্রফুল্ল চাকী ও অন্যান্য শ্রদ্ধেয় বিপ্লবীরা। এখন কেউ কাউকে ঠকাতে পারলে আনন্দ পায়। সামান্য আর্থিক সুবিধা পাওয়াই এখন লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব আমাদের কাছে অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।'

'বিস্মৃতির অতলে প্রফুল্ল চাকী'

সুব্রতবাবু আরও বলেছেন, 'প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম বসু একসঙ্গে একই কাজে মুজফফরপুরে গিয়েছিলেন। বিপ্লবের শপথ পালন করে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে ধরা দেননি প্রফুল্ল চাকী। সেই সময়ের পুলিশের দাবি অনুযায়ী, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। আমরা অবশ্য বিশ্বাস করি তাঁকে গুলি করে মেরেছিল পুলিশ। সে বিষয়ে অনেক যুক্তিও আছে। ক্ষুদিরাম বসু পুলিশের হাতে ধরা পড়েন এবং তাঁর ফাঁসি হয়। এই দুই বিপ্লবীর মধ্যে একজন সম্পর্কে বলা হয়, তিনি না থাকলে নাকি স্বাধীনতা আসত না। কিন্তু অন্য একজনকে সবাই প্রায় ভুলেই গিয়েছে। এটা দেখে আমরা প্রফুল্ল চাকীর পরিবারের সদস্যরা অত্যন্ত দুঃখিত।'

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।