সংক্ষিপ্ত
ভারতের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামে দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র প্রফুল্ল চন্দ্র চাকী ও ক্ষুদিরাম বসু। একইসঙ্গে এই দুই তরুণ বিপ্লবীর নাম উচ্চারিত হয়। তাঁরা দু'জনেই কাছাকাছি সময়ে দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন।
১৯০৮ সালের এপ্রিল মাসের শেষদিক। কলকাতা থেকে মুজফফরপুরে রওনা হয়েছিলেন দুই তরুণ। একজন প্রফুল্ল চন্দ্র চাকী এবং অপরজন ক্ষুদিরাম বসু। তাঁরা অবশ্য একে অপরের পরিচত ছিলেন না। বিপ্লবীদের প্রধান শর্ত মন্ত্রগুপ্তির শপথ মেনে ছদ্মনামে তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই দুই তরুণ মুজফফর পৌঁছনোর পর ৩০ এপ্রিল অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডের ফিটন গাড়ি মনে করে অন্য একটি গাড়িতে বোমা ছুড়ে বসেন। দুই মহিলার মৃত্যু হয়। এরপর পালিয়ে যান বিপ্লবীরা। ২ মে মোকামা ঘাট রেল স্টেশনে পুলিশের গুলিতে প্রফুল্ল চন্দ্র চাকী প্রাণ হারান। ১১ অগাস্ট ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি হয়। ১১৬ বছর পর ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসির দিনে নিজের পরিবারের সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তির কথা স্মরণ করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন প্রফুল্ল চন্দ্র চাকীর প্রপৌত্র সুব্রত চাকী।
৩০ এপ্রিলের তাৎপর্য মনে করাচ্ছেন সুব্রত চাকী
সুব্রতবাবু জানালেন, '১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। প্রফুল্ল চন্দ্র চাকী ও ক্ষুদিরাম বসু হয়তো কিংসফোর্ডকে হত্যা করতে পারেননি। কিন্তু তাঁরা ব্রিটিশ সরকারের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন, ভারতের তরুণ বিপ্লবীরা দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে লড়াই করতে এবং মৃত্যুবরণ করতে ভয় পান না। ৩০ এপ্রিল দিনটি কোথাও পালন করা হয় না। কিন্তু এই দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।'
ক্ষুদিরাম বসুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রফুল্ল চন্দ্র চাকীর পরিবারের
সুব্রতবাবু আরও জানালেন, 'ক্ষুদিরাম বসু যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন, তা অনন্য। ১৮-১৯ বছর বয়সে দেশের জন্য হাসিমুখে ফাঁসির দড়ি গলায় পরে নেওয়া সহজ কথা নয়। ফলে ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসির দিন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
ননীবালা দেবী- ভুলে যাওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামীর কথা, যার যৌনাঙ্গে ব্রিটিশ পুলিশ ঢেলে দিয়েছিল লঙ্কাবাটা