সংক্ষিপ্ত

দিন হোক বা রাত, গ্রীষ্মের দাপটে অস্থির কলকাতা! কিন্তু এত গরম পড়ার কারণ কী?

সূর্যের প্রখর তাপে অস্থির বঙ্গ। কিন্তু সূর্য ডুবলেও শান্তি নেই। রাতেই কমছে না তাপমাত্রা। গরমের সর্বকালীন রেকর্ড ভাঙার নজির গড়ল শহর কলকাতা।

আজ আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৮৯৭ সালের এপ্রিল মাসে শেষ এমন গরম পড়েছিল শহর কলকাতায়। এই দিনই ছিল এপ্রিলে কলকাতার উষ্ণতম রাত। সেই রেকর্ডও আজ ভেঙে ফেলল আলিপুর।

দমদমের ক্ষেত্রেও ছবিটা প্রায় এক রকম। দমদমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও বেশি। প্রায় ৩০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বকালীন রেকর্ড। এপ্রিলের রাতে দমদমের তাপমাত্রা এই প্রথম ৩০ ডিগ্রির ঘরে। এর ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল ছিল দমদমের উষ্ণতম দিন। দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৫ ডিগ্রি ছিল । সেই নজির আজ থেকে দ্বিতীয় স্থানে চলে গেল।

ডায়মন্ড হারবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দমদমের চেয়েও সামান্য বেশি, ৩০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তবে দিনে না হয় ঠিক আছে কিন্তু রাতে এত গরম হওয়ার কারণ কী জানেন?

এক্ষেত্রে দুটি কারণ রয়েছে। এক, প্রাকৃতিক। দুই, ম্যানমেড। প্রথমত, দিনের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় রাতে তাপমাত্রা খুব একটা কমতে পারছে না। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬-৭ ডিগ্রি বেশি থাকছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। দ্বিতীয়ত, উপকূল ও উপকূল লাগোয়া জেলাগুলিতে সন্ধের পর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। আকাশ একটু হলেও মেঘলা হয়ে থাকছে। ফলে দিনে যে তাপ ঢুকছে, সেটা পুরোপুরি বেরোতে পারছে না। তাছাড়া শুকনো বাতাসের চেয়ে জলীয় বাষ্পের তাপ ধরে রাখার ক্ষমতাও বেশি। এর পরও জুড়ছে ম্যানমেড কারণ।

হিট আইল্যান্ডের চেহারা নিচ্ছে শহর। কংক্রিটে ঢেকে সারা শহর। কংক্রিট তাপ শুষে রাখছে, ফলে দিন শেষ হলেও অনেকটা তাপ থেকে যাচ্ছে আমাদের আশপাশেই। গাছপালা কম, জলাশয় কম এই কারণে আরও উষ্ণতা বাড়ছে। সঙ্গে বিপদ বাড়াচ্ছে হাজারে হাজারে এয়ার কন্ডিশনড যন্ত্রের ব্যবহার। এসি ঘর ঠান্ডা করছে, কিন্তু গরম হাওয়া বাইরে বের করে দিচ্ছে। সবমিলিয়ে রাতে তাপমুক্তির একেবারেই সুযোগই পাচ্ছে না নগর, মহানগর।