সংক্ষিপ্ত
শাড়ি পরাতেই নেন ২ লক্ষ টাকা। নীতা আম্বানি থেকে দীপিকা-আলিয়া বহু ঝলমলে তারকাই বাংলার এই বউমার ফ্যান। সদূর বলিউড ছুঁয়েছে বাংলার বউ ডলি জৈনের জনপ্রিয়তা।
শাড়ি পরাতেই নেন ২ লক্ষ টাকা। নীতা আম্বানি থেকে দীপিকা-আলিয়া বহু ঝলমলে তারকাই বাংলার এই বউমার ফ্যান। সদূর বলিউড ছুঁয়েছে বাংলার বউ ডলি জৈনের জনপ্রিয়তা। মণীশ মালহোত্রা, আবু জানি-সন্দীপ খোসলা, সব্যসাচীর মতে ফ্যাশন ডিজাইনারদের শাড়ি পরানোর জন্য বিভিন্ন ফটোশুটে ডাকা হয় তাঁকে।
এছাড়া হলিউডের গিগি হাদিদ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে শুরু করে দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভাট, ক্যাটরিনা কাইফ, নয়ন তারাকে তাদের বিয়ের দিনে শাড়ি পরিয়েছেন ডলি।শুধু তাই নয় কিয়ারার বিয়েতেও তাঁকে শাড়ি ও লাহেঙ্গা পরানোর ভাড় ছিল ডলির উপরে। মুখেশ আম্বানির মেয়ে ইশাকেও বিয়ের শাড়ি পরিয়েছিলেন তিনি। মুকেশ আম্বানির বড় বৌমা শ্লোকা মেহতা এবং ছোট বৌমা রাধিকা মার্চেন্টের বাগদানের অনুষ্ঠানেও শাড়ি পরানোর ভার ছিল তাঁর উপর।
এরমধ্যে শাড়ি পরার প্রায় ৩৬০ ধরনের কৌশল বের করেছেন ডলি। শাড়ি পরানোর জন্য ৩৫,০০০ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক দাবি করেন। কিন্তু কিন্তু কীভাবে এতো জনপ্রিয়তা পেলেন ডলি? এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে তার বিয়ে হয় কলকাতায়। ডলি যে আজ শাড়ি পরিয়ে এত বিখ্যাত হয়েছেন তার নেপথ্যে কিন্তু তার শ্বশুরবাড়িরই অবদান রয়েছে। কারণ তার শ্বশুর বাড়িতে কড়া নিয়ম ছিল শাড়ি ছাড়া তিনি আর কিছু পরতে পারবেন না। আর এই নিয়মের কারণেই তিনি শাড়ি পরা নিয়ে নানারকম এক্সপেরিমেন্ট শুরু করেন।
প্রথম প্রথম নিজেই ঠিক করে শাড়ি পরতে পারতেন না ডলি। শাড়ি পরতে তার ৪৫ মিনিট সময় লাগতো রোজ। সময় বাঁচাতে তিনি নানাভাবে শাড়ি পরা শুরু করেন। এইভাবে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে করতেই প্রায় সাড়ে তিনশোর বেশি কায়দায় শাড়ি পরানোর কৌশল রপ্ত করে ফেলেন ডলি। সবচেয়ে দ্রুত ১২৫ রকমের কায়দায় শাড়ি পরানোর জন্য লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছেন তিনি। ২০১১ সালে সবচেয়ে দ্রুত শাড়ি পরার জন্য বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নাম লেখান ডলি।