সাত সকালে ফের মেট্রো বিভ্রাট। সেন্ট্রাল স্টেশনের পর থেকে আপাতত বন্ধ পরিষেবা। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা।

সাত সকালে ফের মেট্রো বিভ্রাট। সেন্ট্রাল স্টেশনের পর থেকে আপাতত বন্ধ পরিষেবা। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, মেট্রোয় আগুনের ফুলকি দেখা গিয়েছে। তার ফলেই ছড়িয়েছে আতঙ্ক। সকালের এই সময় মেট্রোতে মূলত থাকে অফিস যাত্রীদের ভিড়। সকলেই সঠিক সময় অফিস পৌঁছানোর জন্য থাকেন ব্যস্ত। স্বভাবতই হাতে সময় থাকে অল্প। এই সময় হল বিভ্রান্তি। মেট্রোতে দেখা গেল মেট্রোয় আগুনের ফুলকি। যা কারণে সেন্ট্রাল স্টেশনের পর থেকে আপাতত বন্ধ রয়েছে পরিষেবা।

বৃহস্পতিবার সকাল আটটা নাগাদ ঘটে এই বিভ্রান্তি। সেই সময় দমদমমুখী একটি মেট্রোর নিচ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে মেট্রো রেক খালি করে দেওয়া হয়। নামিয়ে দেওয়া হয় সকল যাত্রীদের। সেই রেকটি কারশেড পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এই কারণে সেন্ট্রাল স্টেশনের পর থেকে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে বন্ধ ছিল পরিষেবা। বর্তমানে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। সাতসকালে মেট্রো বিভ্রাটের ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়। অনেকেই বলেন, প্রায়শই দুটো মেট্রোর মধ্যে সময়ের ব্যবধান বেড়ে যাচ্ছে। তেমনই কেউ বলেন রক্ষণাবেক্ষণের অভাব আছে।

এদিকে আবার জানা যাচ্ছে, ভেঙে ফেলা হবে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন আপ প্ল্যাটফর্ম। টেন্ডার ডেকেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচে তৈরি হয়েছিল স্টেশনটি। কবে কাজ শেষ হবে তা নয়ে সংশয় রয়েছে। জানা গিয়েছে, আপ লাইনে ৪টি পিলারে ধরেছে ফাটল। বসে গিয়েছে প্ল্যাটফর্ম, লাইনও অনির্দিষ্টকালের জন্য কবি সুভাষ স্টেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আপাতত শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত চলছে মেট্রো। কবে থেকে ফের কবি সুভাষ থেকে মেট্রো চলবে তা নিয়ে সংশয়।

এই প্রসঙ্গে এক মেট্রো আধিকারিক জানান, এই ধরনের ফাটল তো একদিনে হয়নি। কিন্তু বিষয়টির গুরুত্ব হয়তো সঠিক সময়ে আন্দাজ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে, এই স্টেশনের হাল বদলাতে টেন্ডারও ডাকা হয়। পুজোর পর সেই কাজে হাত দেওয়া হবে বলে খবর।