সংক্ষিপ্ত
বাড়িওয়ালাকে খুনের অভিযোগে গত ১১ বছর ধরে জেলবন্দী ছিলেন হাওড়ার আমতার বাসিন্দা বাবলু। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে ষষ্ঠীর দিন মৃত্যু হয়েছে ওই সাজাপ্রাপ্ত বন্দীর।
এসএসকেএম-এর মর্গ থেকে উধাও সাজাপ্রাপ্ত বন্দির দেহ। এমনই অভিযোগ ঘিরে হুলস্থুল কলকাতায়। জানা যাচ্ছে মৃতের নাম বাবলু পোল্লে। বাড়িওয়ালাকে খুনের অভিযোগে গত ১১ বছর ধরে জেলবন্দী ছিলেন হাওড়ার আমতার বাসিন্দা বাবলু। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে ষষ্ঠীর দিন মৃত্যু হয়েছে ওই সাজাপ্রাপ্ত বন্দীর। সপ্তমীর রাতে আমতা থানার পুলিশ এই খবর তাঁদের জানায়। সেই মত নবমীর দিন এসএসকেএম হাসপাতালে দেহ নিতে আসেন মৃত্যের বাড়ির লোকেরা। কিন্তু এসে জানতে পারেন মর্গে দেহ নেই। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় হাসপাতাল চত্ত্বরে। পরিবারের দাবি ভবানীপুর থানার OC জানিয়েছেন মৃতের দেহ কেউ আগেই নিয়ে চলে গিয়েছে। তবে কী বন্দী মৃত্যুর পেছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য।
মৃতের পরিবার সন্দেহ করছেন, বাবলুর মৃত্যু নিছকই একটা সাজানো চিত্রনাট্য। আদতে জেলে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে তাঁকে এবং পরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিক্রিরও দাবি করছেন তাঁরা। পরিবারের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে যে ময়নাতদন্তের নির্দির্ষ্ট নিয়ম থাকা সত্ত্বেও কীভাবে দেহ হস্তান্তর করা হল? গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও। হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর গত ২০ অক্টোবর ষষ্ঠীর দিন জেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবলু। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। সপ্তমীর দিনই বাবলুর পরিবারের লোকজনকে। নবমীর দিন ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের লোকজনের হাতে দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে জানানো হয়েছিল মৃতের পরিবারকে। সেই মতই হেস্টিংস থানার পুলিশ ভিডিওগ্রাফারকে নিয়ে পৌঁছয় মর্গে তাঁরা। কিন্তু গিয়ে দেখা যায় দেহ উধাও। দিনভর খোঁজ করলেও কোনও খোঁজ মেলেনি দেহের। জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর মেলার পরে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে বলে হেস্টিংস থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।