সংক্ষিপ্ত
উৎসবের আবহে যে কোনও অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও কড়াকড়ি করছে প্রশাসন। শহরের হোটেলগুলিতে চলছে কড়া নজরদারি।
বছর শেষে উৎসবের মেজাজ শহরে। বড়দিন ও নিউ ইয়ারকে কেন্দ্র করে বহু লোকের আগমন ঘটছে শহরে। বিশেষত এন্টারটেইনমেন্ট হাব ও হোটেলগুলিতে বাড়ছে জনসমাগম। এই সময়গুলোয় বাড়তে থাকে অপরাধমূলক কাজের প্রবনতাও। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই রাজারহাটের হোতেলে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়েছিল দেশ। ফলে উৎসবের আবহে যে কোনও অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও কড়াকড়ি করছে প্রশাসন। শহরের হোটেলগুলিতে চলছে কড়া নজরদারি। রাত্রি যাপনের জন্য হোটেলগুলিতে ক্রমেই বাড়ছে ভিড়। এই পরিস্থিতিতে হোতেলে আগত অতিথিদের পরিচয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। অতিথিরা কোথা থেকে এসেছেন, কী কারণে এসেছেন, কতজন থাকছে তা সমস্ত রেজিস্টার মিলিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি যাচাই করা হবে পরিচয় পত্রও।
বড়দিন উপলক্ষে বাড়তি সতর্কতা পার্কস্ট্রিট, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল, বো ব্যারাকেও। উৎসবের মরশুমে কোনও রকমের অপ্রিতীকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য সবরকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ প্রসাশন। কার্যত নিরাপত্তার চাঁদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা পার্ক স্ট্রিট চত্ত্বরকে। পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র থেকে শুরু করে কুইক রেসপন্স টিম ইত্যাদি নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর গোটা এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখাশোনা করার জন্য থাকছেন ১০ জন ডিসি ও এক জন যুগ্ম কমিশনারও। মহিলাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মোতায়ন করা হয়েছে মহিলা বাহিনী 'উইনার্স'। পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন ২৩টি জায়গায় চলবে নাকা তল্লাশি।
২৫ ডিসেম্বর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোটা পার্ক স্ট্রিট চত্ত্বরকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। গোটা এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ১০ জন ডিসি। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকবেন দু’জন করে ইনস্পেক্টর। এছাড়াও নিরাপত্তার স্বার্থে থাকছে ১১টি নজর মিনার। যে কোনও রকমের অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে দুটি কুইক রেসপন্স টিমও মোতায়ন করা হয়েছে। যে কোনও রকমের সাহায্যের জন্য থাকছে ১৬টি পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র। ২৫ ডিসেম্বর ভিড় সামাল দিতে দু'দফায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হচ্ছে। থাকছেন প্রচুর মহিলা পুলিশকর্মীও। করোনার পর প্রথম বছরের ভিড়ের থা মাথায় রেখে এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি করছে লালবাজার। গোটা এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজ ২৪ ডিসেম্বর শনিবার থাকবেন ২২০০ পুলিশকর্মী, রবিবার ২৫ ডিসেম্বর এই সংখ্যা আরও বেড়ে দাঁড়াবে ৩০০০-এ। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকবে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশও। গোটা শহর জুড়ে টহল দেবে ২০টি মোটরবাইক বাহিনী। বসানো হয়েছে ৫১টি পুলিশ-পিকেট।