সংক্ষিপ্ত

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুজোর আগে এই সময় ধর্মতলা এলাকায় ভিড় বেশি থাকে। তাই সেখানে অবস্থান কর্মসূচি তললে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে।

 

ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার রাত থেকে মেট্রো চ্যানেলের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাতেই এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের কাছ থেকে মেল করে অনুমতি চাোয়া হয়েছিল। কিন্তু পরের দিন, শুক্রবার সকালেই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে তার জবাব দেওয়া হয় মেল করে। সেই মেলেই কলকাতা পুলিশ জনিয়েছে পুজোর মুখে এজাতীয় কর্মসূচির অনুমতি তারা দিতে পারছেন না। পাশাপাশি অনুমতি না দেওয়ার জন্যই তারা জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুজোর আগে এই সময় ধর্মতলা এলাকায় ভিড় বেশি থাকে। তাই সেখানে অবস্থান কর্মসূচি তললে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে। ধর্মতলায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে। সেই কারণেই ডাক্তারদের কর্মসূচিতেও অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না।

ডাক্তারা শুক্রবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত ধর্মতলায় ধর্না ও অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে অনুমতি চেয়েছিল। ট্রাফিকের কথা মাথায় রেখেই জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মসূচিতে সাড়া দেওযা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর আরজি কর আন্দোলনের সঙ্গে রাজ্যের সাধারণ মানুষ যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মসূচিতে যদি প্রচুর পরিমাণে সাধারণ মানুষ জড়ো হয় তাহলে পুজোর মধ্যে সমস্যায় পড়তে হতে পারে জুনিয়র ডাক্তারদের। তাই পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না।

অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা পূর্ণ কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়ে কাজে ফিরেছেন। যদিও তারা গতকালই ২৪ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছে সরকারকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পুরাণ না হলে তারা আমরণ অনশনে বসবে বলেও জানিয়েছে। সেই ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ তাদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হবে এদিন রাত ৯টার পরে। তাই এই পর্যন্ত ধর্মতলায় কর্মসূচি চালানোর অনুমতিও তারা চেয়েছিল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।