সংক্ষিপ্ত

রবিবার রাতে নিউ মার্কেট এলাকায় রানি রাসমনি রোডে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। গোলমাল থামাতে গেলে কালীপুজো কমিটির কয়েকজন সদস‌্য মদ‌্যপ অবস্থায় পুলিশকর্মীদের মারধর করে বলে অভিযোগ।

পণ্যবাহী গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়ে চাঁদা তোলার জুলুমের অভিযোগ। বাধা দিতে গিয়ে কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকার একটি কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ। পুজো কমিটির কয়েকজন সদস‌্য নিউ মার্কেট থানায় গিয়ে চড়াও-ও হয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই হামলায় নিউ মার্কেট থানার অতিরিক্ত ওসি-সহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। উত্তম সাহা, শিবম সিং ও মণীশ সিং নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা ঘটনার সময় মদ‌্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ। 

-

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, রবিবার রাতে নিউ মার্কেট এলাকায় রানি রাসমনি রোডে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। এখানেই একটি কালীপুজোর উদ্যোক্তারা একটি মালবাহী গাড়ির পথ আটকে দাঁড়িয়েছিলেন। মুরগি বহনকারী মালবাহী গাড়ির চালকের থেকে প্রথমে ৫ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছিল, পরে দরাদরি করে তা ১ হাজার টাকায় নামলেও চালক তা দিতে রাজি হননি। এর পরই ওই চালকের সঙ্গে কমিটির সদস্যদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। গাড়িটির চাবি কেড়ে নেওয়া হয়। গোলমালের খবর পেয়ে নিউ মার্কেট থানার কয়েকজন পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে যান। গোলমাল থামাতে গেলে ওই পুজো কমিটির কয়েকজন সদস‌্য মদ‌্যপ অবস্থায় পুলিশকর্মীদের মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে তিন যুবককে ধরে পুলিশ নিউ মার্কেট থানায় নিয়ে যায়। তাঁদের ছাড়াতে নিউ মার্কেট থানায় যান কমিটির সদস‌্যরা।

-
 

থানার ভিতর প্রথমে পুলিশের সঙ্গে তাদের বচসা হয়। এর পর থানার মধ্যেই পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশকর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, হামলায় নিউ মার্কেট থানার অতিরিক্ত ওসি, একজন সাব ইন্সপেক্টর, দু’জন কনস্টেবল ও একজন হোমগার্ড আহত হন। আহতদের মধ্যে এক মহিলা পুলিশকর্মীও রয়েছেন। রাতেই তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।

-

যদিও ওই পুজো কমিটির দাবি, এলাকার এক বালককে গাড়িটি ধাক্কা দেয়। এর পরই কমিটির সদস‌্যদের সঙ্গে চালকের বচসা বাঁধে। যদিও পুলিশের দাবি, ওই চালকের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া গাড়ির চাবি উদ্ধার করা হয়েছে। কমিটির সদস‌্যদের পালটা দাবি, থানায় কথা বলতে গেলে মহিলা পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পুলিশই ধাক্কাধাক্কি করে। পুলিশের অভিযোগ, শুধু হাত দিয়ে মারধর নয়, লাঠি দিয়েও পুলিশকর্মীদের মারধর করা হয়। তাই তাঁদের আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তোলাবাজির চেষ্টার মামলা করা হয়। এ ছাড়াও সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও পুলিশকে মারধরের জন‌্যও মামলা হয়।

-

সোমবার ধৃত তিনজনকে ব‌্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তোলাবাজির চেষ্টার মামলায় তিন অভিযুক্তকে বিচারক জামিন দেন। তবে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে তিনজনকেই এক দিনের জন‌্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। বাকি ৬ অভিযুক্তর সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

-

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।