সংক্ষিপ্ত
কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণার একাংশ, হাওড়ার মত জেলা কাঁপিয়ে রাত দশটা বাজতেই বৃষ্টি নামল। সোঁদা মাটির গন্ধ ছড়িয়ে পড়ল এলোমেলো বাতাসে।
পূর্বাভাস ছিলই। সেইসঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া আর বজ্রবিদ্যুৎ। কলকাতা ভিজল অসময়ের বৃষ্টিতে। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণার একাংশ, হাওড়ার মত জেলা কাঁপিয়ে রাত দশটা বাজতেই বৃষ্টি নামল। সোঁদা মাটির গন্ধ ছড়িয়ে পড়ল এলোমেলো বাতাসে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর ছিল আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে শহরে শুরু হয়ে যাবে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়ো হাওয়া। কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরেও রয়েছে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেই মতই প্রবল বেগের হাওয়া আর বৃষ্টি দেখল শহর থেকে জেলা।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরেই হালকা মেঘলা আকাশ, গুমোট ভাব থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। তবে আজ সন্ধ্যা নাগাদ প্রথমে ঝোড়ো হাওয়া তারপরই মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। সন্ধ্যা থেকে একাধিক জেলায় চলছে ঝড়-বৃষ্টি। নদিয়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামেও এদিন সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। ঝড়-বৃষ্টি চলছে বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানেও। হুগলির আরামবাগে এদিন সন্ধ্যা থেকে প্রবল ঝড় হয়। সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টিপাত। পাশাপাশি মেদিনীপুর শহর-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গাতেই সন্ধ্যা থেকে দেখা যায় ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। সঙ্গে চলে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। জেলার প্রায় সর্বত্রই কমবেশি এই ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ঘাটাল মহকুমা জুড়েও হয়েছে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। দীর্ঘদিন পর বৃষ্টিতে ভিজেছে ঝাড়গ্রামও।
এদিন সন্ধ্যা ব্যাপক বজ্রবিদ্যুৎ-সহ শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে আম, জাম সহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এদিকে এদিন জেলাজুড়ে সকাল থেকেউ ছিল গরমের দাপট। রোদও ছিল বেশ। উল্লেখ্য চলতি সপ্তাহেই ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হবে তাপমাত্রার পারদ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর।
ভ্যাপসা গরমের মধ্যে এই কালবৈশাখীর আগমন বার্তা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। মেঘলা আকাশ হলেও তাপমাত্রায় খুব বেশি হেরফের নেই। তাই বৃহস্পতিবার সারাদিনই ভালোই গরম অনুভব করেছেন রাজ্যবাসী। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে লাগাতার দু থেকে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। কাঠফাটা গরমের হাত থেকে খানিকটা হলেও রেহাই পাবে শহরবাসী। এবছরই দশকের ঊষ্ণতম ফেব্রুয়ারির সাক্ষী থেকেছে বঙ্গ। মার্চ মাসেই তাপআমত্রা ছুয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অবস্থায় আচমকা এই কালবৈশাখীতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে সকলেই।