সংক্ষিপ্ত
অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায় তাঁর সংস্থার ‘ব্র্যান্ডিং’ করেছিলেন। প্রায় চার ঘণ্টা পর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতর থেকে বেরিয়ে এমন দাবিই করলেন সোমা চক্রবর্তী।
নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত তথা জেলবন্দি যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে ব্যবসায়ী সোমা চক্রবর্তীর আর্থিক লেনদেনের একটি সূত্র খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি গোয়েন্দাদের। সেই সূত্রেই তাঁকে দু’বার তলব করেছিল ইডি। এবার সোমা চক্রবর্তীর সূত্র ধরে এই মামলায় নাম জড়াল টলিউড অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের।
অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায় তাঁর সংস্থার ‘ব্র্যান্ডিং’ করেছিলেন। প্রায় চার ঘণ্টা পর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতর থেকে বেরিয়ে এমন দাবিই করলেন সোমা চক্রবর্তী। শুক্রবার, ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে সোমা দাবি করলেন যে তাঁর সংস্থার বিজ্ঞাপন করেছিলেন কৌশানীই। তবে গোটা ঘটনার দায় স্রেফ ঝেড়ে ফেলতে চাইলেন অভিনেত্রী। সংবাদমাধ্যমের সামনে সাফ জানিয়ে দিলেন ‘‘আমি সোমা চক্রবর্তী নামটাই শুনছি এই প্রথম। ওঁর পার্লারের হয়ে মডেলিং করার কথা তো মনেই পড়ছে না।’’
তবে সুর কিছুটা বদলায় পরে। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তরে তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী বলেন, ‘‘তারকা হিসাবে অনেকেই আমার ছবি ব্যবহার করে থাকতে পারেন। তার হিসাব রাখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমার মতো অভিনেত্রীদের ছবি ব্যবহার করলে ব্যবসা ভাল হয়। সেই জন্যই হয়তো ব্যবহার করেছেন! বা আমিও হয়তো শিল্পী হিসাবে যেমন অনেক পার্লার উদ্বোধন করি, সে ভাবেই এই পার্লারেরও উদ্বোধন করেছিলাম। কিন্তু কবে কোথায় গিয়েছি, তা স্মরণে রাখা সম্ভব নয়।’’
তবে নখ পরিচর্যার পার্লারের মালকিন সোমার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কৌশানী কি তাঁর সংস্থার হয়ে বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলেন? জবাবে সোমা বলেন, ‘‘আমার ব্র্যান্ডিং করেছিল ও।’’ উল্লেখ্য, নিয়োগ মামলায় যুবনেতা কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কোথায় গিয়েছে তা খুঁজে দেখতে গিয়ে ব্যবসায়ী সোমার নাম পায় ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্তত ৫০ লক্ষ টাকা গিয়েছে সোমার অ্যাকাউন্টে। সেই সূত্রেই সোমাকে তলব করে ইডি। শুক্রবার নথিপত্র নিয়ে সেই সোমা হাজির হয়েছিলেন সিজিও কমপ্লেক্সে।
এদিকে, শুক্রবার সোমা নামে কাউকে চেনেন না বলে দাবি করেন কুন্তল। উল্টে দাবি করেন, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়কে বাঁচানোর জন্য গোপাল দলপতি তাঁর নামে উল্টোপাল্টা রটিয়ে বেড়াচ্ছেন। সোমা নামের ওই ‘রহস্যময়ী নারী’কে কুন্তল গাড়ি, ফ্ল্যাট, টাকা ইত্যাদি দিয়েছেন। শুক্রবার সেই অভিযোগও খারিজ করে কুন্তল বলেন, “আমার নিজেরই ফ্ল্যাট নেই, তো কাকে ফ্ল্যাট দেব।”