সংক্ষিপ্ত

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কলকাতায় প্রায় ১০ হাজার সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের।

কলকাতার কোন কোন এলাকায় কী ধরনের অপরাধের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়ে গোয়েন্দা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। নতুন বছরে অপরাধমুক্ত শহর গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এর জন্য এলাকা চিহ্নিত করে করে গত কয়েকবছরের অপরাধের বিবরণ খোঁজার কাজ চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকাভিত্তিক অপরাধের প্রবণতা চিহ্নিত করার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চায় লালবাজার।

লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, শহরে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে অপরাধ অনেক কমেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে খুনের ঘটনা ঘটেছিল ৪৫টি। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ৩৪। একই ভাবে ২০২১ সালে ডাকাতি এবং লুটের ঘটনা ঘটেছিল ২৩টি। ২০২২-এ তা হয়েছে ২১। মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের সংখ্যাও ২০২১ -এর তুলনায় হ্রাস পেয়েছে বলে দেখা গেছে। এক পুলিশকর্তা জানান, কলকাতায় অপরাধের হার অন্যান্য মেট্রো শহরের তুলনায় অনেক কম ছিল ২০২১ সালে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরোর ২০২১-এর হিসেব অনুযায়ী, কলকাতা ছিল সবচেয়ে নিরাপদ শহর। সেই তকমা ধরে রাখতে চাইছেন পুলিশকর্তারা।

তবে, অপরাধ কমলেও সেই সংখ্যা একেবারে শূন্যে নিয়ে আসার জন্য সর্বোতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে লালবাজার। নির্ভয়া প্রকল্পের টাকায় বসানো হচ্ছে অতিরিক্ত ৩৫০০টি সিসি ক্যামেরা। বর্তমানে ট্র্যাফিক এবং সাধারণ ক্যামেরার সংখ্যা ৫০০০-এর কিছু বেশি। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কলকাতায় প্রায় ১০ হাজার সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের।

শহরে আরও বেশি করে স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট রিডিং ক্যামেরাও লাগানো হচ্ছে। বর্তমানে শহরে এই ক্যামেরার সংখ্যা রয়েছে ২৫। চলতি বছরে আরও ১৫০টি এমন ক্যামেরা বসানো হবে। পুলিশকর্তারা জানাচ্ছেন, ওই ক্যামেরাস্বয়ংক্রিয় ভাবে গাড়ির নম্বর পড়তে পারে। ফলে কোনও অপরাধ বা দুর্ঘটনায় যুক্ত গাড়ির নম্বর কন্ট্রোল রুমের সার্ভারে দিলেই কোন কোন রাস্তা দিয়ে সেই গাড়িটি গিয়েছে, তা বলে দেবে এএনপিআর ক্যামেরা।

আরও পড়ুন-
দমে যাওয়া কর্মীদের সক্রিয় করাই মূল লক্ষ্য: বর্ধমানে বামফ্রন্টের মঞ্চ থেকে সরব প্রকাশ কারাট
‘রাম ধোলাই’-এর পক্ষে বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার, আবাস যোজনার দুর্নীতি রুখতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাওয়াই 
এখনও দ্বিতীয় ডোজই নেননি দেশের অধিকাংশ মানুষ, ইতিমধ্যেই করোনার চতুর্থ টিকার অনুমোদন চাইল NTAGI