সংক্ষিপ্ত

যেন সেই পুরনো ছন্দে বামেরা। একদিকে যখন জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে উত্তাল লালবাজার, ঠিক তখনই আর জি করের (RG Kar) উদ্দেশ্যে মহামিছিল থেকে রাজপথের দখল নিল বামেরা (LEFT)।

যেন সেই পুরনো ছন্দে বামেরা। একদিকে যখন জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে উত্তাল লালবাজার, ঠিক তখনই আর জি করের (RG Kar) উদ্দেশ্যে মহামিছিল থেকে রাজপথের দখল নিল বামেরা (LEFT)।

মঙ্গলবার, রাজাবাজার থেকে এই মহামিছিলের ডাক দেয় বামেরা। সিপিএম (CPM) সহ বামফ্রন্টের প্রায় সমস্ত শরিক দলের কর্মী-সমর্থক এবং নেতৃত্বরাই পা মেলান এদিনের মিছিলে। সেইসঙ্গে, উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu), সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty), সূর্যকান্ত মিশ্র (Suryakanta Mishra), রবীন দেব (Rabin Deb) সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আর গোটা মিছিলের একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল ছাত্র-যুব কর্মীরা। কার্যত, ইয়ং ব্রিগেডকে একেবারে সামনের সারিতে রেখেই আন্দোলনের উত্তাপ বাড়াচ্ছে বাম নেতৃত্ব। প্রবীণদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই হাঁটছেন তারা। আর মিছিলের শুরুতে ছিলেন মহিলারা।

এদিন বামেদের এই মহামিছিল আটকাতে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে বিশাল পুলিশবাহিনী (Police Force) মোতায়েন করে লালবাজার। লাঠি, ঢাল, হেলমেট এবং কাঁদানে গ্যাস নিয়ে যেন যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতি সেরে রাখে কলকাতা পুলিশ। সঙ্গে ছিল ব্যারিকেড।

কিন্তু এদিন মিছিলের উত্তাপ ছিল আলাদা। বিপুল কর্মী এবং সমর্থকদের মিছিল যেন কার্যত আছড়ে পড়ল শ্যামবাজারে। বিশাল সংখ্যক কর্মীকে আটকাতে পারেনি পুলিশ। ভাঙতে থাকে ব্যারিকেড। সেইসঙ্গে, শুরু হয়ে যায় স্লোগান। পরপর দুটি ব্যারিকেড ভেঙে দিয়ে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান বাম কর্মী এবং সমর্থকরা। কার্যত গোটা শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় অবরুদ্ধ হয়ে যায়। রাস্তাতেই বসে পড়েন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee) সহ অন্যান্য নেতৃত্ব এবং কর্মীরা।

মিছিলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান ওঠে বারবার। এরপর সেখানেই অবস্থান শুরু করে দেন তারা। সবথেকে বড় বিষয়, আশেপাশের বাড়ির ব্যালকনি থেকে মহিলারা তাদের চেঁচিয়ে এবং হাততালি দিয়ে সমর্থন জানাতে থাকেন। আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে ফের একবার রাজপথে ঝাঁঝ বাড়াল বামেরা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।