সংক্ষিপ্ত
রাজ্যজুড়ে চলছে ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন। ব্রিজে আগুন ধরিয়ে দিয়ে এবং ভেঙে ভোটারদের আটকানোর চেষ্টা, নন্দীগ্রামে একে অপরকে দুষছে তৃণমূল এবং বিজেপি।
রাজ্যজুড়ে চলছে ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটছে। এরই মাঝে নন্দীগ্রামে ব্রিজে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে।
নন্দীগ্রাম, বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম একটি জায়গা। বলা হয় এই নন্দীগ্রাম থেকে বাম সরকারের পতন শুরু। নন্দীগ্রাম মূলত তমলুক লোকসভার অন্তর্গত। আর এইবারের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে হাইভোল্টেজ লড়াই। বিজেপির হয়ে লড়াই করছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তৃণমূলের হয়ে টিকিট পেয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং সিপিআই(এম)এর হয়ে মাঠে নেমেছেন তরুণ প্রার্থী সায়ন ব্যানার্জি।
আর সকাল থেকেই এই কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসা শুরু হয়েছে। তারই মাঝে নন্দীগ্রামে ব্রিজে আগুন ধরিয়ে ভোটারদের আটকানোর অভিযোগ উঠেছে ঘাসফুল এবং পদ্ম দুই শিবিরের বিরুদ্ধেই। জানা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভার অন্তর্গত নন্দীগ্রাম বিধানসভার সোনাচূড়া এলাকার ২৭৪ এবং ২৭৫ নম্বর বুথে যাওয়ার জন্য রাস্তায় যে ব্রিজটি রয়েছে, সেটি ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলই একে অপরকে দোষারোপ করছে এই ঘটনায়।
এই এলাকায় ভোটারদের বুথে যাওয়ার জন্য রয়েছে একটি কাঠের তৈরি অস্থায়ী ব্রিজ। তাছাড়া আর কোনও পথ নেই। কিন্তু শনিবার সকালে এলাকাবাসীদের নজরে আসে এক অদ্ভুত দৃশ্য। ভোট তখনও শুরুই হয়নি। তার আগেই একদল দুষ্কৃতি সেই সেতু ভাঙবার চেষ্টা করে। ভোটদানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বুঝতে পেরেই প্রতিবাদে পথে নামেন তারা। আর এর ফলেই তাড়াতাড়ি দুষ্কৃতিরা সেই ব্রিজে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী এবং চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা।
যদিও ততক্ষণে ব্রিজ অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ। সেই ব্রিজ পেরিয়ে ভোট দিতে যাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় ২৭৪ এবং ২৭৫ নম্বর বুথের ভোটারদের কাছে। অবশেষে পুলিশই উদ্যোগ নিয়ে একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা করে। আর এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বিজেপি পরিষ্কার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। পাল্টা তৃণমূলও বিজেপির বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, বহু মানুষ ওই এলাকায় ভোট দিতে যেতে পারছেন না। বিজেপি হেরে যাওয়ার ভয়েই এইসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।
সবমিলিয়ে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন ঘিরে রীতিমতো উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।