সংক্ষিপ্ত

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবি। আর এরপরই মুখ খুললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়।

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবি। আর এরপরই মুখ খুললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়।

প্রসঙ্গত, চব্বিশের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। রাজ্যের বুকে সবুজ ঝড় দেখা গেছে। আর এরপরই মুখ খুলেছেন পদ্ম শিবিরের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায়।

বেসরকারি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “প্রার্থী বাছাই ঠিক হয়নি। যোগী আদিত্যনাথ যে প্রার্থী তালিকা দিল্লীতে পাঠিয়েছিলেন, তার বেশিরভাগটাই অনুমোদন পায়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। ফলে, উত্তরপ্রদেশে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। আসলে আরএসএস-এর সঙ্গে সম্পর্কটা একটু ক্ষীণ হয়ে গেছে বিজেপির। এটা শুভ লক্ষণ নয়। এরাজ্যে বিজেপির সাধারণ কর্মীদের আনুগত্য পার্টির প্রতি না হয়ে কোনও একজন লোকের প্রতি হয়ে গছে। এটা মারাত্মক একটা জিনিস।”

তথাগতবাবুর আরও অভিযোগ, “ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকা থেকে অনেক প্রার্থীকে বাছাই করে বিভিন্ন কেন্দ্রে দাঁড় করানো হয়েছে। যাদের কোনও যোগ্যতাই নেই।” তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গেও লেখেন। তাঁর কথায়, “বাঙালির একটা নৈতিক অধঃপতন হয়েছে। সব ভেড়ার পালের মতো একইদিকে ভোট দেবে। তাই রাজ্যের ভোট মমতার পক্ষে গেছে। শুধু মমতা জিতেছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “অভিষেকের বিরুদ্ধে যথেষ্ট অভিযোগ আছে। সেই অভিযোগ প্রমাণ করা খুব একটা শক্ত নয়। কিন্তু তাও কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন জানিনা।” আর যাদবপুরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সম্পর্কে তথাগত রায়ের বক্তব্য, “সায়নী ঘোষের মিষ্টি তো আমি নেবোই না। কোনও প্রশ্নই নেই। যে মেয়েছেলেটা ভগবান মহাদেবের মাথায় কন্ডোম পড়িয়েছিল, সেই মেয়েছেলেটার মিষ্টি আমি নেব? সে জিতে থাকতে পারে। কিন্তু সে তো জেতেনি, জিতেছে মমতা।”

তথাগত রায় বলছেন, “বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী একমাত্র মাস লিডার। ও যেইরকম সারা রাজ্য জুড়ে খেটেছে, তাঁর মতো কেউ করেনি। শুভেন্দু অধিকারীর অনস্বীকার্য ভূমিকা আছে। কিন্তু রাজ্যে বিজেপির যা ফল হয়েছে, সেটা শুভেন্দু অধিকারীর চেষ্টার পরেও হয়েছে। তাঁর জন্য উল্টো ফল হয়েছে এইরকমটা নয়। তবে যে মুহূর্তে মমতা থাকবে না, তৃণমূল দলটা উঠে যাবে। অভিষেকও কিছু করতে পারবেন না। আর চাষ করতে হলে মুসলমান ভোটেরই চাষ করতে হবে।”

সবমিলিয়ে, ভোটের ফলের পর আরও বিস্ফোরক তথাগত রায়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।