সংক্ষিপ্ত
ভোট পেরিয়ে সামনে এসে গেল ফলাফল। তারপর তাঁর মুখে শোনা গেল ভিন্ন সুর। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়ালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতেন তিনি, দাবি নওশাদ সিদ্দিকির।
ভোট পেরিয়ে সামনে এসে গেল ফলাফল। তারপর তাঁর মুখে শোনা গেল ভিন্ন সুর। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়ালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতেন তিনি, দাবি নওশাদ সিদ্দিকির।
উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যে জৌলুস আইএসএফ-এর দেখা গেছিল, তার বিন্দুমাত্রও চোখে পড়েনি চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে। অনেকবারই তিনি বলেছিলেন যে, ডায়মন্ডহারবারে তিনি নাকি অভিষেকের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত, দলের নির্দেশ মেনে সেই লোকসভায় লড়াই করেননি বলেই জানান ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
সেইসঙ্গে, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে সমস্ত কেন্দ্রে প্রার্থীও দিতে পারেনি তারা। বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটেও যায়নি এবার আইএসএফ। বসিরহাটের প্রার্থী আবার নিজেকে সরিয়ে নেন, পরবর্তীতে অন্য প্রার্থী দেয় তারা। সবমিলিয়ে, পরিস্থিতি খুব একটা সুখকর ছিল না। বেশিরভাগ আসনেই চতুর্থ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে আইএসএফ-কে।
কিন্তু ভোটের ফল বেরোতেই অদ্ভুত যুক্তি শোনা গেল তাঁর গলায়। নওশাদের কথায়, ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি হারাতেন। এই প্রসঙ্গে অবশ্য তিনি দলকেই দায়ী করেছেন।
যিনি নিজে ভাঙড়ের বিধায়ক, সেই ভাঙড়েই এবার অন্তত ৪০ হাজার ভোটে পিছিয়ে আছে আইএসএফ। যাদবপুর লোকসভার মধ্যে থাকা এই ভাঙড় বিধানসভাতে তৃণমূলের থেকে পিছিয়ে আইএসএফ। যদিও নওশাদের দাবি, ঠিকঠাক ভোট হলে এই কেন্দ্র থেকে তারা ৫০ হাজারের বেশি লিড পেতেন।
এই লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে বারবার দেখা গেছিল ভাঙড়ে। অনেক বেশি প্রচার তিনি সেই অঞ্চলে করেন। কিন্তু যে বিধানসভায় রেকর্ড ভোট পেয়ে নওশাদ সিদ্দিকি জিতলেন, সেই বিধানসভাতে এই হাল চব্বিশের লোকসভা ভোটে? তারপর তিনি দাবি করে বসলেন যে, ডায়মন্ডহারবারে দাঁড়ালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতেন।
এই প্রসঙ্গে ভাঙড়ের বিধায়ক জানাচ্ছেন, “আমার ইচ্ছা ছিল যে, ডায়মন্ডহারবারে দাঁড়াব। আমি যদি প্রার্থী হতাম, তাহলে অবশ্যই অভিষেকবাবুকে হারাতাম। তাঁকে পুরো প্রাক্তন করে দিতাম। কিন্তু দল অনুমোদন দেয়নি আমাকে দাঁড়ানোর জন্য। তাই আমি ওই কেন্দ্রে দাঁড়াইনি। তাছাড়া ডায়মন্ডহারবারে কীভাবে ভোট হয়েছে, সবাই দেখেছে।”
সবমিলিয়ে, ভোটের ফলপ্রকাশের পর যেন রীতিমতো বিস্ফোরক আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।