সংক্ষিপ্ত
জোড়াফুল শিবিরের প্রবীণ সদস্যদের পাশাপাশি, নবীন সদস্যদেরও অগ্রাধিকার দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন।
২০২৩-এর সূচনাকালের সঙ্গে সঙ্গে আজ পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসেরও প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে ১ জানুয়ারি সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল শিবিরের দলীয় কার্যালয়ে লক্ষ্য করা গেল উৎসবমুখরতা। কলকাতায় দলের সদর কার্যালয়েও আয়োজিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান। জেলায় জেলায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছে মিছিল এবং রাজনৈতিক পথসভার।
১ জানুয়ারিতেই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে জন্ম নিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতির নতুন দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের সকালে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি লিখেছেন, "এই ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি। এই যাত্রাপথে আমাদের অগ্রাধিকার, দেশমাতৃকার সম্মান ও বাংলা মায়ের স্বার্থ। দেশের সাধারণ মানুষের আবেগ আমাদের কাছে হৃদস্পন্দনের সমান এবং বাংলার মানুষের ভালবাসা আমাদের কাছে প্রাণপ্রিয়।"
এর পাশাপাশি দলের প্রত্যেক নেতা ও কর্মীর আত্মত্যাগকে কুর্নিশ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, "আজ, আমরা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের প্রতিটি কর্মীর আত্মত্যাগ এবং নিরলস প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানাচ্ছি। তাঁরাই আমাদের দলের সম্পদ। আমি তাঁদের সকলকে নতমস্তকে বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, যাঁদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের দল নতুন ভোরের আলো দেখেছিল।"
জোড়াফুল শিবিরের প্রবীণ সদস্যদের পাশাপাশি, নবীন সদস্যদেরও অগ্রাধিকার দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি লিখেছেন, "আমাদের নতুন সদস্যদের আন্তরিক শুভকামনা, যাঁরা বিভিন্ন রাজ্য থেকে এই মহান পথচলার সঙ্গী হয়েছেন। আমাদের প্রধান লক্ষ্য এই বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর প্রতি সুবিচার নিশ্চিত করা। আমরা বরাবরের মতো সাধারণ মানুষের সেবার জন্য সর্বদা উৎসর্গকৃত এবং তাঁদের সার্বিক মঙ্গলের জন্য সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
অন্যদিকে, রবিবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন, “মা-মাটি-মানুষের প্রতি আস্থা রাখার জন্য বাংলা তথা সকল দেশবাসীর কাছে আমরা চিরকৃতজ্ঞ। আমরা নতুন বছরে সমস্ত আসুরিক শক্তির বিরুদ্ধে নবরূপে লড়াই করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনাদের সকলের জীবন হোক ক্লেদ এবং বিষাদমুক্ত। সুখের পরশে সমস্ত গ্লানি দূর হয়ে যাক।”
নতুন বছরের সূচনায় ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং গোয়ায় তৃণমূলের অফিসেও দলের প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষ্যে হাজির ছিলেন দলের নেতা-কর্মীরা। ২ জানুয়ারি, সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সমাবেশেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। দলের সমস্ত স্তরের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধিরা সেখানে হাজির থাকবেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন-
বছর শুরু হল মিসাইলের আঘাতে, রুশ বাহিনীর হামলায় বর্ষবরণেও রেহাই পেল না ইউক্রেন
নতুন বছরে বঙ্গে পালিত হচ্ছে কল্পতরু উৎসব, কামারপুকুর, কাশীপুর, দক্ষিণেশ্বর বেলুড় মঠে ভক্তদের ভিড়
বছরের শুরুতেও ভূমিকম্পের হাত থেকে রক্ষা পেল না উত্তর ভারত, মধ্য রাতে কেঁপে উঠল দিল্লি হরিয়ানা