সংক্ষিপ্ত
কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার। টুইট করে তাঁর কটাক্ষ করমন্ডল এক্সপ্রেস নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইচ্ছাকৃতভাবে ২০০০ টাকার নোট সাহায্যের নামে বিতরণ করেছেন।
করমন্ডল এক্সপ্রেস ও যশবন্তপুর-হাওড়া ডাউন হামসফর এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বুধবার মৃতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্যের অর্থ তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল তিনটেয় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠান থেকে এই অর্থ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিরোধীদের চাপানউতোর। বিশেষত বিজেপি এই অনুষ্ঠানকে রীতিমত কটাক্ষ করেছে। বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তুলেছেন এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে। তাঁর দাবি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই মমতা নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অর্থ বিতরণের অনুষ্ঠান করেছেন।
ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার। টুইট করে তাঁর কটাক্ষ করমন্ডল এক্সপ্রেস নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইচ্ছাকৃতভাবে ২০০০ টাকার নোট সাহায্যের নামে বিতরণ করেছেন। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ আসলে এই রেল ট্রাজেডিকে নিজের সুবিধার্থের ব্যবহার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অমানবিক মুখ ফের একবার সামনে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন সুকান্ত।
এদিকে, বিরোধীদের দাবি আচমকা কলকাতায় অনুষ্ঠান করে ঘটা করে চেক বিলির দরকার ছিল না। সেটা সরাসরি অ্যাকাউন্টেও দেওয়া যেত। জেলা প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে আড়ম্বর না করেও দুর্ঘটনাগ্রস্থদের পাশে থাকা যেত বলে মনে করছেন বিরোধীরা। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা তুলবেন বলেই তিনি ঘটা করে নেতাজী ইন্ডোরে প্রোগ্রাম করেছেন বলে দাবি বিরোধীদের।
প্রসঙ্গত, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরের দিনই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেদিনই মৃত, আহত ও ট্রমায় থাকা যাত্রীদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি ৷ এরপর ফের গতকাল তিনি ওড়িশার কটক ও ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। সেখান থেকে বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরে আসেন। সেখানকার হাসপাতালে থাকা আহতদের চিকিৎসা নিয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। আজ সকালে রাজ্যে ফিরে বিকেলে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, বিতর্ক বেধেছে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিজনের হাতে তৃণমূলের তরফে দু’হাজার টাকার নোটে নগদ সাহায্য তুলে দেওয়া নিয়ে। দল হিসেবে তৃণমূল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারপিছু দু’লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য দিচ্ছে। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল ও ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস সোমবার বাসন্তীতে গিয়ে ছড়ানেখালি গ্রামের বাসিন্দা রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের হাতে দু’লক্ষ টাকা করে তুলে দেন। সেই টাকা দেওয়া হয়েছে দু’হাজার টাকার নোটে। এটা কালো টাকাকে সাদা করার প্রক্রিয়া বলেই মনে করছে বিরোধীরা।