সংক্ষিপ্ত
মমতা এদিন জনসমাবেশে সিপিএম যেভাবে তাদের ওপর অত্যাচার করেছে তাও তুলে ধরেন। মমতা বলেন, কেশপুরে সাত জনকে খুন করা হয়েছে। দেহ তাঁর জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল ছাত্রপরিষদের জন্মদিনে নিজেকে ছাত্র রাজনীতির 'প্রোডাক্ট' বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজের ছাত্ররাজনীতির কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, সেই সময় তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল ডিএসও। সেই দলটি তাঁকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আদর্শের জন্য তা পারেননি। তিনি বলেন একটা সময় কংগ্রেস করেছেন। কিন্তু এই রাজ্যে কংগ্রেস বরাবরই সিপিএম-এর হয়ে কাজ করেছে। এই রাজ্যে সেই সময় সিপিএম অত্যাচার করেছে। কংগ্রেস দিল্লি থেকে কোনও লোক পাঠায়নি। তিনি বলেন, ২১ জুলাই ১৩ জনের মৃত্যু হয়, আমতার কান্দুয়ায় হাত কেটে দেওয়া হয়, মেরামিতে চার নকশাল নেতাকে কুঁচি কুচি করে খুন করা হয়েছে। দিল্লি থেকে কোনও লোক পাঠান হয়নি। কংগ্রেস সিপিএম বরাবরই আঁতাত করে কাজ করে। তিনি বলেন, হলদিয়া বা চমকাই তলায় মিটিং করতে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
মমতা এদিন জনসমাবেশে সিপিএম যেভাবে তাদের ওপর অত্যাচার করেছে তাও তুলে ধরেন। মমতা বলেন, কেশপুরে সাত জনকে খুন করা হয়েছে। দেহ তাঁর জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের আগেও সিপিএম এই রাজ্যে অত্যাচার করছে। তাঁর ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। তিনি বলেন, হাজরায় মিটিং করার সময় তাঁকে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। সেই সময় সিপিএম লোহার চেন দিয়ে ঘিরে ফেলেছিল। তাঁর সঙ্গে যাঁরা সেই সময় রাজনীতি করত তারে মারধর করা হয়েছে। তিনি বলেন, সেই সময়ই তাঁকে ডান্ডা দিয়ে মারা হয়েছিল, পুলিশের ডান্ডা দিয়ে মারধর করা হয়েছে। তাঁকে তিন বার পরপর ডান্ডা দিয়ে মারধর করা হয়েছে। সেই জন্য হাতের সমস্যা রয়েছে। মমতা বলেন, ২১ জুলাই কোমরে মেরেছিল এখনও সেই ব্যাথা রয়েছে। দুটি হাতেই মারা হয়েছে। কিন্তু তার জেদ ছিল, তাই তিনি লড়ে গেছেন। কেউ ভাবতে পারেনি সিপিএমকে বাংলা থেকে সরানো যাবে। কিন্তু সিপিএমকে সরিয়ে দেওয়া যাবে। সিপিএমকে যখন বাংলা থেকে সরানো গেছে , তখন দিল্লি থেকে বিজেপিকে সরানো যাবে। তিনি রাজ্যের মানুষকে তাঁর সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন।
মমতা এদিন বলেন, এই রাজ্যে বাম, কংগ্রেস , বিজেপি একজোট হয়ে কাজ করে। তারা প্রত্যেকেই সিপিএমএর হয়ে কাজ করছে। 'এখন লাল গেরুয়া মিলে গেছে। সিপিএম কংগ্রেস বিজেপি এক হয়ে কাজ করছে।' মমতা এদিন বলেন, বিজেপি শুধু গুজরাট চেনে। দেশকে চেনে না। তিনি একাধিকবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। তাই তিনি দেশকে বেশি করে চেনেন।
এদিন মমতা রাজ্যে ছাত্রভোট নিয়ে বড় কথা বলেন, তিনি বলেন পুজো হয়ে গেলে কলেজে ছাত্র নির্বাচন হবে। সেন্ট জেভিয়ার্সের কায়দায় নির্বাচন হবে। নতুন বিল বিধানসভায় পাশ করা হবে। মমতা আরও বলেন, যে কলেজে যে পড়ে শুধুমাত্র সেই কলেজের ছাত্রছাত্রীরাই কলেজে যাবে। অন্য কোনও কেউ ঢুকতে পারবে না। কলেজ নির্বাচন শান্তিপ্রিয়ভাবে করতে হবে বলেও মমতা বলেন।