সংক্ষিপ্ত

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা আপাতভাবে সুস্থ রয়েছেন। কিন্তু পরে সূত্র মারফত জানা যায় চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার দুপুরে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে বাগডোগরার দিকে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পথেই বিপত্তি। চপার দুর্ঘটনায় পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝপথে আকাশ কালো করে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। পাইলট সঙ্গে সঙ্গে হেলিকপ্টারের মুখ ঘুরিয়ে যে দিকে আকাশ পরিষ্কার, সে দিকে উড়তে শুরু করেন। তলায় বৈকণ্ঠপুরের ঘন জঙ্গল থাকায় তিনি তখনই কপ্টার নামাতে পারেননি। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেবকের এয়ারবেসটি দেখতে পান পাইলট। সেখানেই জরুরি অবতরণ করেন।

এদিকে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা আপাতভাবে সুস্থ রয়েছেন। কিন্তু পরে সূত্র মারফত জানা যায় চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে তাঁরা বাগডোগরা থেকে বিমানে কলকাতায় ফেরেন। কলকাতায় তাঁকে চিকিৎসা করানো হবে এসএসকেএম হাসপাতালে। সূত্রের খবর কোমরে ও পায়ে ভালোই চোট পেয়েছেন মমতা। এসএসকেএমে ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মমতার পা এবং কোমরে চোট রয়েছে। সরকারি ভাবে এ বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য না করলেও কলকাতা বিমানবন্দরে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়। তৎপরতা শুরু হয় এসএসকেএম হাসপাতালেও। যদিও অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠেননি মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে নিজের গাড়িতে চেপে মুখ্যমন্ত্রী রওনা দেন এসএসকেএম হাসপাতালের উদ্দেশে। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হতে পারে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তৈরি রাখা হয়েছে উডবার্ন ওয়ার্ড। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা তৈরি রাখা হয়েছে। প্রস্তুত চিকিৎসকেরাও। তৈরি রাখা হয়েছে ওই ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনও।

এদিকে, নির্বাচনী প্রচারের দ্বিতীয় দিনেও মমতার নিশানায় কেন্দ্র। সোমবারের পর মঙ্গলবারও বিএসএফ ইস্যুতে সরব হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির চেকেন্দা ভাণ্ডারী মাঠে জনসভা করলেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন দিনহাটায় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা নিয়েও তীব্র আক্রমণ শানালেন মমতা। বিএসএফ প্রসঙ্গ তুলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'কোচবিহারে বিএসএফের গুলিতে আরও কয়েকজন মারা গিয়েছে। বিএসএফ-এর সবাই খারাপ নয়। তবে আমি তাঁদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আবেদন করব। মোদীজি আজ আছে কাল নেই, কিন্তু বিএসএফকে আজীবন দেশ রক্ষা করতে হবে'

মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির জনসভায় দাঁড়িয়ে কোচবিহার নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়,'কোচবিহারে আমাদের একজনকে গুলি করে মারা হয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে দুষ্কতীরা ঢুকেছে। এই ঘটনায় আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। বিএসএফের গুলিতে মৃতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।'