সংক্ষিপ্ত
একদিকে যেমন আজমের দরগায় চাদর চড়ালেন মমতা, তেমনই অন্যদিকে পুষ্কর মন্দিরে পুজো দিলেন তিনি। দিল্লিতে বৈঠক সেরেই এবার মঙ্গলবার হাজির হলেন রাজস্থানে। সেখানেই মাথায় শাড়ির আঁচল ঢাকা দিয়ে আজমের শরিফের দরগায় প্রবেশ করেন তিনি।
তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর তত্ত্বাবধানেই আজমের শরিফ অবধি রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল। আর সে কারণেই আজমের শরিফ ঘুরে দেখার ইচ্ছা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবারের সফরে তাই তিনি আজমের শরিফ ভ্রমণ করতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন। এবার সেই ইচ্ছাই পূরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় তিনি পুষ্করেও যেতে চান বলে জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সারাদিন তাই সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ার ভরে ছিল মমতার রাজস্থান সফরের ছবিতে।
একদিকে যেমন আজমের দরগায় চাদর চড়ালেন মমতা, তেমনই অন্যদিকে পুষ্কর মন্দিরে পুজো দিলেন তিনি। দিল্লিতে বৈঠক সেরেই এবার মঙ্গলবার হাজির হলেন রাজস্থানে। সেখানেই মাথায় শাড়ির আঁচল ঢাকা দিয়ে আজমের শরিফের দরগায় প্রবেশ করেন তিনি। সেখানে নিরাপত্তারক্ষীদের কড়া ব্যবস্থা দিয়ে তাঁকে ঘিরে রাখা হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিল রাজস্থান পুলিশ ও বাংলার পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য সেখানে বিপুল মানুষের ভিড় জমে। আজমের শরিফে প্রবেশ করে তিনি চাদর চড়িয়েছেন মমতা।
প্রবেশের মুখেই তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়ে স্বাগত জানানো হয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য জনগণের ভিড় জমে গিয়েছে সেখানে। আর কড়া নিরাপত্তার মাঝখান দিয়েই প্রবেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। শাড়ির আঁচল দিয়ে মাথা ঢেকে তিনি হেঁটে যান আজমের শরিফে। এ দিন দুপুরে অজমের শরিফে খোয়াজা মইনউদ্দিন চিস্তির দরগায় পৌঁছন তিনি। ফুল, চাদর, ধূপ কেনেন বাইরে। তার পর সেই ঝুড়ি মাথায় তুলে নেন ফিরহাদ। সেই নিয়ে ঢোকেন দরগায়।
দুপুর সওয়া ১টায় মাজার শরিফে পৌঁছন মমতা। আজমেরের দরগা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের জন্যই নয়, সেখানে যেতে পারেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষ। সেই ছবি পোস্ট করে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন পোস্ট করে তৃণমূল জানায়, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই আসল ভারত।
শুধুমাত্র মুসলিমদের তীর্থক্ষেত্র নয় অজমেঢ় শরিফ। প্রতিদিন বিভিন্ন ধর্মের হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভিড় করেন। কারণ খোয়াজা মইনউদ্দিন সুফি সাধক ছিলেন। দরিদ্র, দুঃস্থ মানুষের বন্ধ ছিলেন তিনি। অজমেঢ় শরিফে যাওয়ার ইচ্ছা বহুদিনের বলে জানিয়েছেন মমতা। মঙ্গলবার সেই ইচ্ছা পূরণ হল তাঁর।