সংক্ষিপ্ত
ইন্ডিয়া ইভেন্ট নামে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী চন্দন। মৃত্যুর আগে স্ত্রীকে মেসেজ করেছিলেন। ফোনেও কথা বলেছিলেন।
রহস্যজনক মৃত্যু কলকাতায়। রবিবার ছুটির দিনে সল্টলেক সিটি সেন্টার ওয়ানের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান সল্টলেক সিটি সেন্টার ওয়ানের চার তলা থেকে পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে চন্দন মণ্ডল নামে এই ব্যক্তির। তবে চন্দনকে কেউ ধাক্কা মেরে চার তলা থেকে ফেলে দিয়েছে না, আত্মহত্যা করেছে তা স্পষ্ট নয়। তবে মৃত্যুর আগে চন্দন ও তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বা টেক্সটে বার্তা আদানপ্রদান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে পুলিশের একটি সূত্র।
ইন্ডিয়া ইভেন্ট নামে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী চন্দন। মৃত্যুর আগে স্ত্রীকে মেসেজ করেছিলেন। ফোনেও কথা বলেছিলেন। চন্দনের শেষ কয়েকটি টেক্সট মেসেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি স্ত্রীকে জানিয়েছেন, তিনি আর পরিবারকে চালাতে পারবেন না। যদিও স্ত্রী তাঁর কাছে একাধিকবার কাতর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও পাল্টা উত্তর দেননি চন্দন। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরা চন্দন ও তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাসের কথাবার্তার সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।
দেখুন তাদের কথাবার্তাঃ
চন্দনের স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বিশ্বাস চন্দনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তাদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেছেন, চন্দন কিছুদিন আগেই একটি সংস্থা ছেড়ে নতুন সংস্থায় যোগদান করেন। তাঁকে বেশি বেতন দেওয়ার কথা বলে নিয়ে আসা হয়েছিল। নতুন সংস্থার কর্তা বিষ্ণু মুচ্ছল। মাস দুয়েক হল নতুন সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন চন্দন। প্রথম দিকে সব কিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালেই সংস্থার কর্তা বিষ্ণু চন্দনের ওপর মানসিক চাপ বাড়াতে থাকেন। চন্দনের কাজে ইচ্ছেকৃতভাবে ত্রুটি খুঁজে বার করতেন বিষ্ণু। তাঁকে ভাল কাজও দেওয়া হত না। যা দিনে দিনে মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল চন্দনের।
স্ত্রী আরও জানিয়েছেন স্বামীকে মানসিকভাবে শক্তি জাগিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেই শেষ রক্ষা হল না। তিনি আরও বলেছেন, চন্দনের পুরনো বস তাঁর নামে কুৎসা করেছিলেন। তারপরই নতুন বস তাঁকে হেনস্থা করতে শুরু করেন। স্ত্রী জানিয়েছেন, বিষ্ণু মুচ্ছল তাঁর স্বামী চন্দনে আর কাজে রাখতে চাইছিলেন না। যা নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। স্ত্রী আরও জানিয়েছেন এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির ফোন পেয়ে জানতে পারেন স্বামীর মৃত্যুর কথা। তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, এত লোকের মাঝে কী করে এক ব্যক্তি পড়ে গেল তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে দুর্ঘটনা না স্বাভাবিক মৃত্যু তা নিয়েও সংশয় রয়েছে পুলিশের।