সংক্ষিপ্ত

মরিশাস প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি হলেন মরিশাস প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রের প্রধান। এই দেশটি একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্র এবং এই দেশে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা আনুষ্ঠানিক।

মরিশাসের সপ্তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করা একজন মরিশিয়ান রাজনীতিবিদ পৃথ্বীরাজ সিং রূপন তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় আসছেন। তিন দিনের ব্যক্তিগত সফরে কলকাতায় আসছেন তিনি বলে সূত্রের খবর। মরিশাসের রাষ্ট্রপতি কলকাতায় থাকার সময় বিখ্যাত দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও বেলুড় মঠ পরিদর্শন করবেন। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট-এ মেমোরিয়াল ফর ইনডেনচার্ড লেবারার্স থেকেও সম্মাননা দেওয়া হবে তাঁকে বলে জানা গিয়েছে।

গভর্নিং কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি স্বপন দাশগুপ্ত এবং বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী এর সম্মানে একটি নাগরিক অভ্যর্থনা এবং নৈশভোজের আয়োজন করবেন। পৃথ্বীরাজসিং রূপন জিসিএসকে (মরিশাসের রাষ্ট্রপতি) সিভি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। আনন্দ বোস (পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল), হরিবংশ নারায়ণ সিং (ডেপুটি চেয়ারম্যান, রাজ্যসভা) এবং আরও অনেকে থাকবেন এই নৈশভোজে বলে সূত্রের খবর।

মরিশাস প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি হলেন মরিশাস প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রের প্রধান। এই দেশটি একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্র এবং এই দেশে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা আনুষ্ঠানিক। বর্তমান পদাধিকারী পৃথ্বীরাজসিং রূপন। তিনি ২০১৯ সালের দোসরা ডিসেম্বর তারিখে অফিসের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

গভর্নিং কাউন্সিল, ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং খোলা হাওয়ার সভাপতি স্বপন দাশগুপ্ত বলেছেন, "যে ভারতীয়দের মাতৃভূমির শেষ দর্শন কলকাতা ছিল তাদের একজনের বংশধরকে স্বাগত জানানো আমার কাছে সৌভাগ্যের।"

পৃথ্বীরাজসিং রূপন একজন আইনজীবী যিনি ২০০০ সালে প্রথম জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তিনি শিল্প ও সংস্কৃতি, সামাজিক সংহতি এবং আঞ্চলিক প্রশাসনের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৬৮ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে, মরিশাস আফ্রিকার অন্যতম স্থিতিশীল গণতন্ত্রে পরিণত হয়েছে।

এর আগে, মরিশাসের রাষ্ট্রপতি পৃথ্বীরাজসিং রূপন ১১ই মে প্রতিবেশী বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহর পরিদর্শন করেন। মরিশাসের প্রেসিডেন্ট ঢাকায় ৬ষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সে যোগ দিতে ১১ মে চার দিনের সফরে ঢাকায় যান। এটিই মরিশাসের কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম বাংলাদেশ সফর। মরিশাসের রাষ্ট্রপতি পৃথ্বীরাজসিং রূপনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম।

শুক্রবার আয়োজিত এই বৈঠকে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মরিশাসের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন ২০৪১’ সম্পর্কে অবহিত করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দীর্ঘদিনের চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন মরিশাসের প্রেসিডেন্ট। তিনি সাম্প্রতিক উচ্চ-পর্যায়ের সফরের উদ্ধৃতি দিয়ে সম্পর্ক বাড়াতে জোর দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জনে ভূয়সী প্রশংসা করেন।