Recruitment Scam News: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Recruitment Scam News: বৃহস্পতিবার ED-র তলবে জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি মায়া সাহা সিজিও কমপ্লেক্সে । SSC-র নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সাঁইথিয়ার তৃণমূল কাউন্সিলরকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ED সূত্রে খবর,ধৃত তৃণমূল বিধায়কের পিসি মায়া সাহা হাজিরা দিলে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে । প্রয়োজনে পিসি-ভাইপোকে মুখোমুখি বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। তার যে মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি সেই মোবাইল ফোন তারই সামনে খুলে দেখবেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি তাকে বেশকিছু নথি ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট এবং সম্পত্তির নথি নিয়ে আসতে বলেছিল । তিনি নিয়েও এসেছেন । SSC-র নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, গত সোমবার জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসির বাড়িতেও হানা দেয় ED। সাড়ে ৪টা ঘণ্টা ধরে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চলে।

সূত্রের খবর, আদালতে ED আধিকারিকরা দাবি করেছেন, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় জমা পড়েছে চাকরি-বিক্রির টাকা। নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, CBI-এর পর, এবার ED-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। আদালতে নথি পেশ করে ED র দাবি,লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে, অযোগ্যদের সরকারি চাকরি বিক্রি করেছেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। ২০১৯ থেকে ২০২১, এই ৩ বছরে জীবনকৃষ্ণ সাহা ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় জমা পড়েছিল ৫০ লক্ষ টাকা।

ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ED-র বিশেষ আদালতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, অ্যাকাউন্টে জমা পড়া ৫০ লক্ষ টাকার হিসেব পেশ করে। সেখানে সরকারি চাকরি পেতে তৃণমূল বিধায়ককে, কে টাকা দিয়েছে তার নাম, কত টাকা দিয়েছে তার অঙ্ক এবং তারিখের উল্লেখ রয়েছে বলে খবর সূত্রের। এমনকী, কোন ব্যাঙ্কের কোন অ্যাকাউন্টে নগদ জমা পড়েছে বা অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার হয়েছে, তারও বিস্তারিত তথ্য রয়েছে ED-র নথিতে।

প্রসঙ্গত, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে ইডি তদন্তে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর , জীবনকৃষ্ণ সাহার নামে মোট ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে, যেখান থেকে টাকা তোলা ও স্থানান্তর হয়েছে।

ইডির দাবি, মোট ৪৬ লক্ষ টাকার লেনদেন ধরা পড়েছে। এর মধ্যে বিধায়কের স্ত্রীয়ের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে ২৬ লক্ষ টাকা এবং বাকি ২০ লক্ষ টাকা বাবার অ্যাকাউন্টে জীবনকৃষ্ণ পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। জানা গিয়েছে, ধৃত বিধায়কের স্ত্রী পেশায় শিক্ষকা।

 তাঁর অ্যাকাউন্টে এত টাকা কীভাবে গেল তা নিয়েও এদিন আদালতে প্রশ্ন তোলে ইডি। এদিন অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের লেনদেন নিয়ে ধৃত বিধায়কের স্ত্রীকেও জেরা করে ইডি। শুধুমাত্র বেতন থেকে এই লেনদেন সম্ভব? এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে তদন্তকারীদের জানান। এমনকী জীবনকৃষ্ণের বাবার অ্যাকাউন্টে বিপুল অঙ্কের লেনদেন নিয়েও জেরা হয় বলে ইডি সূত্রে খবর। এই সমস্ত লেনদেন হয়েছিল ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।