সংক্ষিপ্ত
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা আরজিকর তিলোত্তমা পর্বের সবচেয়ে পরিচিত নাম "সন্দীপ ঘোষ"। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ কী নয় তার আর প্রয়োজন নেই! এই নামই যথেষ্ট। তবে নামমিলান্তিতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বাকিরা! যাদের যাদের এই নামের সঙ্গে মিল, আর বিশেষ করে কলকাতার যারা, সেই ব্যক্তিদের হয়েছে পড় সমস্যা। এই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষ উপাধি পাওয়া প্রায় সব সন্দীপরাই রয়েছেন সমস্যায়!
যখন থেকে আরজি করের সন্দীপ ঘোষের 'কেলেঙ্কারি' প্রকাশ্যে এসেছে, সব সন্দীপরা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এই কারণে অনেকে ফেসবুকে তাদের পদবি সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে 'নট দ্য প্রিন্সিপাল' লেখা জুড়েছেন। এমনই একজন তিলোত্তমার পাড়ার পানিহাটির বাসিন্দা সন্দীপ ঘোষ। তিনি কর্মসূত্রে একজন গায়ক। আরজি করের এই ঘটনার পর বেশ সমস্যায় পড়েছেন তিনি। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়৷ সেই ঝড়ের খানিকটা আঁচ এসে পড়ে নাম ও একালায় মিল থাকা এই ব্যক্তির উপর। আর সহ্য করতে না পেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন যে, তিনি আর সহ্য করতে পারছে না। "আমি আরজি করের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ নই..."
নাম নিয়ে মারাত্মক সমস্যার পড়েছেন তিবি। আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ভেবে সবাই তাঁকে ট্রোল করছেন। আর তিনি যে সেই কুখ্যাত ব্যক্তি নন তা বোঝাতে গিয়েই প্রতিদিনই হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। নামের বিড়ম্বনায় সোশ্যাল মিডিয়া পেজেও অনেকে আসছেন এবং পোস্ট করছেন, অনেক কিছু। পানিহাটির সন্দীপের মা বলেছেন, "নাম তো আগেই দেওয়া, এখন আর কি করার, আগে জানলে এই নাম কেউ রাখে।" তবে রেহাই এটাই যে প্রতিবেশীরা জানে যে এই সন্দীপ ঘোষ সেই সন্দীপ ঘোষ নন, এটাই শান্তি।