সংক্ষিপ্ত

"এই ঘটনা নিয়েও রাজনীতি করা হচ্ছে। এরা ক্রিমিনাল। মানুষের প্রাণ নিয়ে খেলছে। যারা এসব ব্রিজ বানায় তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্তের দরকার।"

 

'গুজরাতের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে', মোরবি প্রসঙ্গে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের একবার শোকপ্রকাশও করলেন তিনি। পাশাপাশি গুজরাটে যাওয়ারও ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন তিনি। তবে তাঁর এক্ষুণি গুজরাট সফর যে রাজনৈতিক টিপন্নির কারণ হতে পারে সেই বিষয় স্পষ্ট করেনন মুখ্যমন্ত্রী।

বুধবার রাজ্যপাল লা গণেশনের আমন্ত্রণে আমন্ত্রণে চেন্নাই চেন্নাই রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ম মতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। গুজরাট ইস্যুতে শোকপ্রকাশ করে তিনি বলেন, "গুজরাটের ঘটনায় আমি ব্যথিত। আমার ইচ্ছে ছিল ঘটনাস্থলে যাওয়ার। যেতে পারতামও, কিন্তু আমি গেলেই বলা হবে রাজনীতি করতে এসেছি। তবে সুযোগ হলে অবশ্যই যাব।" পাশাপাশি এদিন সেতু নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁদের যথাযথ শাস্তির দাবিও করেন তিনি।

ব্রিজ বিপর্জয় ইস্যুতে কোনও রাজনৈতিক তরজা চান না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বরং বলেন, "আমি এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করতে চাই না। এখানে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। ব্রিজ ভেঙে এতগুলো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অনেকের খোঁজ মেলেনি। আরও কত মৃত্যু সংবাদ পাবো জানি না। আমাদের বাংলারও এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। আমি মর্মাহত।" পাশাপাশি মমতার সংযোজন, "এই ঘটনা নিয়েও রাজনীতি করা হচ্ছে। এরা ক্রিমিনাল। মানুষের প্রাণ নিয়ে খেলছে। যারা এসব ব্রিজ বানায় তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্তের দরকার। এইবেলা কেন ইডি সিবিআই চুপ? কেন এই ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিচ্ছে না?"

রবিবার সন্ধ্যায় প্রায় ৫০০ জন পর্যটক-সহ গুজরাটের মাচু নদীর উপর ভেঙে পড়ল ঝুলন্ত সেতু। ঘটনায় সলিল সমাধি কমপক্ষে ৯০ জনের। নিখোঁজ শতাধিক। ক্রমেই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। উল্লেখ্য,মেরামতির জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল এই সেতু। দীর্ঘ রক্ষণাবেক্ষণের পর গত ২৬ অক্টোবর সেতুটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু উদ্বোধনের মাত্র তিনদিনের মাথায়ই ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে একটি টুইট করেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। টুইটে তিনি লিখেছে। এই ঘটনায় তিনি মর্মাহত এবং আহতদের চিকিৎসা এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারকাজে গতি আনতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী।

ঘটনার পরই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল টুইট করে জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজে গতি আনার পাশাপাশি একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য এবং পরিস্থিতির দিকে সজাগ নজর রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যেরও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।