Netaji Subhas Chandra Bose: আলোচনায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু। নতুন রিপোর্ট প্রকাশ করলেন অশোকনাথ বসু দুই মেয়ে তথা জয়ন্তী রক্ষিত, তপতী ঘোষ ও এক ছেলে আর্য বসু। অশোকনাথ বসু ছিলেন নেতাজির মহানিস্ক্রমণের সময়ে অন্যতম সহযোদ্ধা।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দীর্ঘদিনের। এখনও অর্ধেক বাঙালি মানতে নারাজ নেতাজির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু রেনকোজির মন্দিরে থাকা চিতাভষ্ম নেতাজির- এই দাবি দীর্ঘ দিনের। সুভাষ-কন্যা অনিতা বসু পাফ সেই চিতভষ্ম ভারতে ফিরিয়ে আনার দাবিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখন প্রকাশ্যে আসছে অন্য রিপোর্ট। সেখানে দাবি করা হচ্ছে তাইহোকুতে কোনও বিমান দুর্ঘটনাই হয়নি। তাহলে প্রশ্ন নেতাজির মৃত্যু কীভাবে?

সাংবাদিক বৈঠক-

বৃহস্পতিবার সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন অশোকনাথ বসু দুই মেয়ে তথা জয়ন্তী রক্ষিত, তপতী ঘোষ ও এক ছেলে আর্য বসু। অশোকনাথ বসু ছিলেন নেতাজির মহানিস্ক্রমণের সময়ে অন্যতম সহযোদ্ধা। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই নেতাজি গবেষক সৈকত নিয়োগী ও সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত।

তাইওয়ানে বিমন দুর্ঘটনা হয়নি-

বৈঠকে তাঁরা জানিয়েছেন ১৯৪৫ সালে ১৮ অগস্ট তাইওয়ানের তাইহোকুতে কোনও বিমান দুর্ঘটনা হয়নি। সেই প্রসঙ্গে লন্ডন আর্কাইভ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি রিপোর্ট। তাও প্রকাশ করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি। তাহলে রেনকোজির মন্দির থাকা চিতাভষ্ম ভারতে ফেরানোর দাবি কেন তোলা হচ্ছে? এই প্রশ্ন তোলেন নেতাজির পরিবারের সদস্য, নেতাজির মেজোদাদা শরৎচন্দ্রবসুর বড় ছেলের পরিবার।

লন্ডনের রিপোর্ট-

নেতাজি গবেষণ জানাচ্ছে গবেষণার খারিতে নানা দেশে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত রিপোর্ট পড়তে শুরু করেন তিনি। সেখান থেকেই এই রিপোর্ট পন। গবেষক আরও জানিয়েছেন, নেতাজির প্রচলিত মৃত্যুর দিন যে তাইওয়ানের তইহোকুতে কোনও বিমানই দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। সেই কথাই রিপোর্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিল তাইওয়ান সরকার। গবেষকের অভিযোগ ইউপিএ আমলে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। নেতাজিকে নিয়ে চলা কমিশনগুলিকেও ভুলপথে পরিচালিত করা হয়েছিল।

সৌম্যব্রত দাশগুপ্তর কথা-

বৈঠকে উপস্থিত সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত বলেন, 'তাইওয়ান সরকারের এমন রিপোর্ট ভারত সরকার ষাটের দশকে পাওয়ার পরেও তা ধামাচাপা দিয়ে দিল। যা প্রমাণ করে, নেতাজির চিতাভস্ম ও বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে কত বড় চক্রান্ত তৈরি করা হয়েছিল।' তিনি আরও বলেছেন, 'রাজ্য সরকারের হাত ধরেই নেতাজির ৪৬টি গোপন তথ্য ডিক্লাসিফাই করা হয়েছিল। কেন্দ্র সম্প্রতি ৩০০টি রিপোর্ট ডিক্লাসিফাই করেছে।'