- Home
- West Bengal
- Kolkata
- WB DA : সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র প্রথম কিস্তি কবে দেবে নবান্ন? বিরাট প্ল্যান অর্থ দফতরের
WB DA : সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র প্রথম কিস্তি কবে দেবে নবান্ন? বিরাট প্ল্যান অর্থ দফতরের
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকার বকেয়া ডিএ-র টাকা দেওয়া হবে জুলাই ২০২৫-এর মধ্যে, আর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে জুন ২৭-এর মধ্যে। তাহলে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র প্রথম কিস্তি কবে কীভাবে দেবে নবান্ন? মিলল বিরাট খবর!

রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য আসছে স্বস্তির হাওয়া। বহু প্রতীক্ষিত বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) অবশেষে মিলতে চলেছে।
১৪১ মাসের বকেয়া, লাভবান হবেন ৮ লক্ষ কর্মী-পেনশনভোগী
২০০৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালের জন্য ডিএ বকেয়া রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।
এই দীর্ঘ ১৪১ মাসের বকেয়ার এক চতুর্থাংশ এবার মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক, পঞ্চায়েত ও পৌর কর্মচারী, সরকারি সংস্থার কর্মী, পেনশনপ্রাপ্ত ও পরিবার পেনশনপ্রাপ্তরা মিলিয়ে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ এই সুযোগের আওতায় পড়বেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাধ্যতামূলক পরিশোধ
২০২৫ সালের ১৬ মে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ-র ২৫% কর্মীদের হাতে তুলে দিতে হবে।
সেই নির্দেশ মান্য করেই নবান্ন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই অর্থ দফতরের তরফে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ–র ২৫ শতাংশ মেটানো সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশের মডিফিকেশন চেয়ে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য।
সেই আবেদন কবে শুনানির জন্য উঠবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তার আগে আদালত অবমাননার মতো পরিস্থিতি এড়াতে এই ২৫ শতাংশ বকেয়া মেটানোর পরিকল্পনাই করছে রাজ্য সরকার।
সুপ্রিম কোর্টে সরকারি কর্মচারীদের মোট বকেয়া ডিএ বাবদ যে টাকা দিতে হবে বলে রাজ্য জানিয়েছে, সেই হিসেবে ২৫ শতাংশের জন্য লাগবে প্রায় ১০ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।
৩০ জুনের মধ্যে এই টাকা দিতেই হবে রাজ্যকে। সূত্রের দাবি, এই টাকার একাংশ জোগাড়ের জন্য রাজ্য সরকার খোলা বাজার থেকে ঋণ সংগ্রহের প্রস্তুতি শুরু করেছে।
অর্থ দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে এ ছাড়া রাজ্য সরকারের কাছে বিকল্প পথ নেই।
এই ঋণের টাকা খরচ কী ভাবে করা যাবে, আইনে তার নির্দিষ্ট কোনও বিধি নেই। প্রয়োজন মতো সরকার এই টাকা মূলধনী বিনিয়োগে বা কর্মচারীদের বেতন মেটাতে খরচ করতে পারে।
চলতি আর্থিক বছরে রাজ্য বাজেটে খোলা বাজার থেকে ৮১ হাজার ৯৭২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ঋণ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
তাই চলতি আর্থিক বছরের প্রথম কোয়ার্টার, অর্থাৎ এপ্রিল–জুনের মধ্যে ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বাজার থেকে ঋণ তুলতে কোনও সমস্যা হবে না।
গত আর্থিক বছরে রাজ্য সরকার বাজার থেকে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকা ঋণ সংগ্রহ করেছিল। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ৬৯ হাজার ৯০৮ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা খোলা বাজার থেকে ঋণ সংগ্রহ করেছিল রাজ্য।
বকেয়া ডিএ–র ২৫ শতাংশ দেওয়া নিয়ে নবান্ন এখনও কোনও সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ করেনি। তবে সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী রায় মেনে চার সপ্তাহ অর্থাৎ ১৫ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকার তাদের বক্তব্য শীর্ষ আদালতে জানিয়ে দিয়েছে বলে সূত্রের দাবি।

