সংক্ষিপ্ত
জমি কেনার পরিকল্পনা করে থাকলে সতর্ক হন। এবার জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে নয়া নিয়ম জারি হল। এই ভুলে বিপদে পড়তে পারেন।
ভারতবর্ষে জমি বা সম্পত্তি কেনার পর রেজিস্ট্রি করানো একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনগত প্রক্রিয়া যা সম্পত্তির মালিকানা নিশ্চিত করে। সম্প্রতি এই প্রক্রিয়াটিকে আরও স্বচ্ছ, নিরাপদ ও দক্ষ করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেছে। ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে এবং এর মূল উদ্দেশ্য হল রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল করা।
প্রপারটি রেজিস্ট্রির প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন এসেছে। এই নতুন নিয়মের অধীনে জমি রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন এসেছে। প্রক্রিয়া আরও সহদ করতে, ভুয়ো রেজিস্ট্রি এবং জমি নিয়ে বিরোধ কমবে। এই পরিবর্তনগুলো জমির মালিক, ক্রেতা, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার এবং সরকারি দফতরের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এবার থেকে নিয়ম জারি হল। জেনে নিন-
- সমস্ত নথি অনলাইনে জমা দেওয়া হবে।
- রেজিস্ট্রেশন অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
- ডিজিটাল সই ব্যবহার করা হবে।
- রেজিস্ট্রেশনের পরপর ডিজিটাল সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে।
- প্রক্রিয়া দ্রুত সহজ ও স্বচ্ছ হবে।
- সঙ্গে দুর্নীতির সম্ভাবনাও কমবে।
নতুন নিয়ম অনুসারে, জমি রেজিস্ট্রির জন্য আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা অত্যন্ত বাধ্যতামূলক হয়েছে। এর কিছু উপকারিতা আছে। যেমন বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে প্রতারণা রোধ করা যাবে। সম্পত্তি রেকর্ড আধার সঙ্গে সংযুক্ত হবে। বেনামী সম্পত্তি চিহ্নিত করা এবং ট্র্যাক করা সহজ হবে।
এখন থেকে রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়ার ভিডিও রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যার ফলে প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে। কোনও বিতর্কের ক্ষেত্রে এটি প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে। জোর পূর্বক বা চাপের মাধ্যমে করা রেজিস্ট্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
সব রেজিস্ট্রি ফি এবং কর অনলাইন প্রদান করা হবে। এতে নগদ লেনদেন কমবে। পেমেন্ট প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং নিরাপদ হবে। সময় এবং প্রচেষ্টার সাশ্রয় হবে।
তেমনই রাজ্যে রেজিস্ট্রি বাতিল করার জন্য সময়সীমা ৯০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। অবৈধভাবে করা রেজিস্ট্রি, আর্থিক কারণ ও পারিবারিক আপত্তির কারণে বাতিল হতে পারে রেজিস্ট্রি।